তানজিম-হৃদয়ের ব্যাটে বড় জয়ে শুরু বাংলাদেশের
পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ সহজ জয় দিয়ে শুরু করল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে আট উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে নাজমুল হাসান শান্তর দল। চট্টগ্রামে বাংলাদেশের রান তাড়ার সময় বৃষ্টি বেশ কয়েকবার বাগড়া দিলেও শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটেরই জয় হয়েছে।
সাগরিকায় সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বড় জয়ের নায়ক অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। এই দুই তরুণের অসাধারণ এক জুটিই বাংলাদেশের জয়কে সহজ করেছে।
আট উইকেটের জয়ে বল বাকি ছিল ২৮টি। ম্যাচ জয়ের পথে শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না বাংলাদেশের। দলীয় ৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত এক রানে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। ওপেনিং সঙ্গী ফিরলেও দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হাসান শান্তকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে নেন তানজিদ তামিম। দুজনে মিলে ৫২ রানের জুটি গড়েন। ২১ রানে অধিনায়ক শান্ত ফিরলে জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে সারেন তানজিদ।
৩৬ বলে অপরাজিত ৬৯ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তানজিদ তামিম এবং হৃদয়। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেই দুর্দান্ত এক হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন তানজিদ তামিম। ৪৭ বলে ৬৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ইনিংসটিতে দুটি ছক্কা এবং আটটি চার মেরেছেন তিনি।
অবশ্য তিনবার জীবন পেয়েছেন তিনি। ব্লেসিং মুজরাবানির এক ওভারেই দুইবার জীবন পান তানজিদ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পর ১১তম ওভারে রিচার্ড এনগারাভার বলে আরেকবার জীবন পান তিনি। ১৮ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তাওহিদ হৃদয়।
এর আগে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে অল্প রানেই গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও তাসকিন আহমেদের পেস তোপে পড়ে খেই হারিয়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংস থামে মাত্র ১২৪ রানে।
এই সিরিজ দিয়ে দলে ফেরা সাইফুদ্দিন শিকার করেছেন তিন উইকেট। সমান তিন উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদও।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। দলীয় মাত্র আট রানে ওপেনার ক্রেইগ আরভিনকে সাজঘরে পাঠান মেহেদী হাসান। এরপ ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন জয়লর্ড গাম্বি এবং ব্রায়ান বেনেট। জিম্বাবুয়ের দলীয় ৩৬ রানে নামে উইকেটের ধ্বস।
৩৬ থেকে ৪১ রানে পৌঁছাতে ছয়টি উইকেট হারায় সফরকারীরা৷ খুব অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলেও জিম্বাবুয়ের রক্ষাকর্তা হয়ে আসেন ক্লাইভ মাদানে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। দুজনে অষ্টম উইকেটে যোগ করেন ৭৫ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছেন মাদানে। ৩৪ রান এসেছে মাসাকাদজার ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের দুই পেসার তাসকিন ও সাইফুদ্দিন মিলে নিয়েছেন ছয়টি উইকেট। যার মধ্যে তাসকিন ১৪ রান দিয়ে তিনটি ও সাইফুদ্দিন ১৫ রান দিয়ে শিকার করেছেন তিন উইকেট। দুটি উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান। দুটি রান আউটও করেছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।