কোহলিদের বিদায় করে ফাইনালের রেসে টিকে রইলো রাজস্থান
টানা সাত ম্যাচ হারের পর টানা ছয় ম্যাচ জিতে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্লে-অফে উঠেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। অপরদিকে রাজস্থান রয়্যালসের সর্বশেষ জয়টি এসেছিল পাঁচ ম্যাচ আগে। সবমিলিয়ে কোহলিরাই ফর্মে এগিয়ে ছিলেন।
তবে ক্রিকেট যে চরম অনিশ্চয়তার খেলা বা এখানে যে আগের ম্যাচের ফলাফল খুব একটা কাজে দেয় না, সেটি আরেকবার প্রমাণিত হলো৷ টানা ছয় ম্যাচ জিতে উড়তে থাকা বেঙ্গালুরুকে মাটিতে নামিয়ে এনে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকল রাজস্থান রয়্যালস। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মুখোমুখি হবে তারা।
বেঙ্গালুরুর দেওয়া ১৭৩ রানের লক্ষ্য রাজস্থান টপকে গেছে চার উইকেট ও ছয় বল হাতে রেখে। যশস্বী জয়সোয়াল ও টম কোলার-ক্যাডমোরের ৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটিতে শুরুটা ভালো হয় রাজস্থানের। জয়সয়াল ৩০ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন। মাঝে পরপর দুই ওভারে জয়সয়াল ও অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রাজস্থান।
এরপর জুরেল ও রিয়ান পরাগের ২৬ রানের জুটি কিছুটা চাপ সামাল দেয়। কিন্তু বিরাট কোহলির দুর্দান্ত থ্রোয়ে জুরেল রানআউট হলে আবার ম্যাচে ফেরে বেঙ্গালুরু। এরপর হেটমায়ার খেলেন এক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। পরাগের সঙ্গে তার ২৫ বলে ৪৫ রানের জুটিতে রাজস্থানের সমীকরণও হাতের নাগালে চলে আসে।
১৮ তম ওভারে সিরাজ পরপর পরাগ ও হেটমায়ারকে আউট করলেও লকি ফার্গুসনের করা ১৯তম ওভারেই রাজস্থানের জয় নিশ্চিত করেন রোভম্যান পাওয়েল। এর আগে টস হেরে ব্যাট করে ২০ ওভার খেলে আট উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান সংগ্রহ করে বেঙ্গালুরু।
বেঙ্গালুরুর প্রথম চার ব্যাটসম্যানের ইনিংসই ভালো শুরু পেলেও বড় হয়নি। পাওয়ার প্লেতে অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসির পর অষ্টম ওভারে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহক বিরাট কোহলিকে হারায় তারা। ক্যামেরন গ্রিন ও রজত পাতিদার মাঝের ওভারে ৩১ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন। এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের গোল্ডেন ডাকে পথ হারায় বেঙ্গালুরু। তবে মহিপাল লোমররের ঝড়ো ১৭ বলে ৩২ রানের ইনিংসে লড়াইয়ের পুঁজি পায় বেঙ্গালুরু।