রোমাঞ্চকর জয়ে অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ ড্র বিসিবি এএচপির
প্রথম ইনিংসের গড়া ব্যবধানই জয় এনে দিলে অস্ট্রেলিয়া সফরে থাকা বিসিবি হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলকে। যদিও লক্ষ্য তাড়ায় ঠিক পথেই ছিল পাকিস্তান 'এ' (পাকিস্তান শাহিনস), একটু দূরেই ছিল। কিন্তু শেষের নাটকীয়তায় জয়ের বন্দরে পৌঁছানো হয়নি দলটির। জমে ওঠা ম্যাচে ১ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট ফেলে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়েছে এইচপি।
অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনের মারারা ওভালে সিরিজের দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচে পাকিস্তান 'এ' দলকে ৫ রানে হারিয়েছে এইচপি। এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজ ড্র-তে শেষ করলো মাহমুদুল হাসান জয়ের দল। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে ২৫৮ রান তোলে। এইচপির দুই পেসার রিপন মন্ডল, রেজাউর রহমান রাজাদের বোলিং তোপে পাকিস্তান 'এ' ১৭৯ রানেই অলআউট হয়ে যায়।
প্রথম ইনিংসে ৭৯ রানের লিড পায় এচপি। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও তাদের দুজন ব্যাটসম্যান হাফ সেঞ্চুরি করেন, যদিও সংগ্রহটা বড় হয়নি। পাকিস্তান 'এ' দলের পেসার মোহাম্মদ আলী খুররাম শাহজাদের বোলিংয়ের সামনে দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৬ রানে অলআউট হয় এইচপি। পাকিস্তান 'এ' দলের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৯৬ রান। জয়ের পথে থেকেও তারা ২৯০ রানে অলআউট হয় দলটি। এই ইনিংসে বল হাতে এইচপিকে পথ দেখান মাহমুুদুল জয়, রেজাউর, হাসান মুরাদরা।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই হয় পাকিস্তান 'এ' দলের। উদ্বোধনী জুটিতে ৯৬ রান যোগ করেন হাসিবুল্লাহ খান ও অধিনায়ক সাহিবজাদা ফারহান। এ দুজনই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ৭০ বলে ৬৮ রান করা সাহিবজাদাকে ফিরিয়ে এই ভাঙেন মাহমুদুল জয়। পরের ওভারে তোপ দাগেন রেজাউর, ফিরিয়ে দেন কামরান গুলামকে। এক ওভার পর উমর আমিনকে নিজের শিকারে পরিণত করেন এইচপির এই পেসার।
বড় জুটি গড়ার পর ৫ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় পাকিস্তান 'এ'। কিছুক্ষণ পর ইরফান খানকে ফেরান হাসান মুরাদ। বিনা উইকেটে ৯৬ রান তোলা দলটি ১২৪ রানের মধ্যে হারিয়ে বসে ৪টি উইকেট। দেড়শ পেরিয়ে তাদের চাপ আরও বাড়ে, এ সময় হাসিবুল্লাহর স্টাম্প উপড়ে নেন রেজাউর। ফেরার আগে ১২০ বলে ৫১ রান করেন ৫১ রান করেন হাসিবুল্লাহ।
১৫৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দলটি দিশা খুঁজে পায় তায়াব তাহির এবং ওমাইর ইউসুফের ব্যাটে। ষষ্ঠ উইকেটে ৬৫ রান যোগ করেন এ দুজন। উদ্বোধনী জুটির মতো এই জুটিও ভাঙেন পাকিস্তান 'এ' দলকে সবচেয়ে বেশি বেগ দেওয়া মাহমুদুল জয়। এই জুটি গড়া দুজনকেই নিজের শিকারে পরিণত করেন তিনি। তাহির ৯৭ বলে ৪৩ ও ইউসুফ ১০৩ বলে ৪৫ রান করেন।
৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও দলকে জয়ের পথে রাখেন মোহাম্মদ আলী ও খুররাম শাহজাদ। অষ্টম উইকেটে তারা ৫৭ রানের জুটি গড়েন। দল যখন বিপাকে, তখনই কাণ্ডারীর ভূমিকায় হাজির হওয়া এইচপি অধিনায়ক মাহমুদুল জয় এই জুটিরও দুজনকে আউট করেন। খুব কাছে গেলেও আলী ও খুররামকে হারিয়ে জয় পাওয়া হয়নি তাদের। আলী ২১ ও খুররাম ২৮ রান করেন। ১৩ ওভারে ২১ রানে ৫টি উইকেট নেন মাহমুদুল জয়। রেজাউর ৩টি ও হাসান মুরাদ ২টি উইকেট পান।