মিরাজ-খালেদে দ্বিতীয় দিনের সকালটা বাংলাদেশের
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস অল্প রানে গুটিয়ে দিয়ে দারুণ শুরুই করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টেও শাসন করার আভাস দেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা। অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েট ও জন ক্যাম্পবেল মিলে হেসে খেলেই প্রথম দিনের শেষ অংশটা পার করে দেন। কোনো উইকেট না হারিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা।
১৬ ওভারে বিনা উইকেট ৬৭ রান, যেকোনো দিক থেকেই দারুণ শুরু। স্বস্তি নিয়েই দ্বিতীয় দিন শুরু করে ক্যারিবীয়রা। এদিনের শুরুটাও খারাপ ছিল না। কিন্তু দলীয় স্কোর ১০০ ছুঁতেই বদলে গেল ম্যাচের আবহ। শুরুটা করে দিলেন শরিফুল ইসলাম। সুর মেলালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর খালেদ আহমেদের তোপে হঠাৎ-ই দিকহারা স্বাগতিকরা।
৩২ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চেপে ধরেছে সাকিব আল হাসানের দল। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৪২ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ ১৩৩ রান। হঠাৎ উইকেট হারিয়ে বসার চাপ সামাল দেওয়ার দায়িত্ব উঠেছে জার্মেইন ব্ল্যাকউড ও কাইল মেয়ার্সের কাঁধে।
ব্ল্যাকউড ২ ও মেয়ার্স শূন্য রানে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশের চেয়ে এখনও ১৩৩ রানে পিছিয়ে ব্রাথওয়েটের দল। তামিম ইকবালের ৪৬, লিটন কুমার দাসের ৫৩, পেসার এবাদত হোসেনের ২১ ও শরিফুল ইসলামের ২৬ রানের সুবাদে প্রথম ইনিংসে ২৩৪ রান তোলে বাংলাদেশ।
প্রথম দিন হেসেখেলেই বাংলাদেশের বোলারদের সামলে নেন ব্রাথওয়েট ও ক্যাম্পবেল। ৬৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা এই দুই ব্যাটসম্যান এদিনও সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন। এদিনও ৩৩ রান যোগ করেন তারা। কিন্তু দলীয় স্কোর ১০০ ছুঁতেই এই জুটি ভেঙে দেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসারের বলে আউট হওয়ার আগে ৪৫ রান করেন ক্যাম্পবেল।
প্রথম উইকেট নিয়ে যেন তরতাজা হয়ে ওঠে বাংলাদেশ শিবির। ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ ১৩০ পেরনোর পর তাদেরকে এমনভাবে চেপে ধরেন মিরাজ-খালেদরা যে, পথ খুঁজে পাচ্ছিল না ঘরের মাঠের দলটি। মিরাজের অসাধারণ একটি আর্ম বল ড্রিফট করে ভেঙে দেয় ৫১ রান করা ব্রাথওয়েটের স্টাম্প।
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর সময় দেননি খালেদ। বাংলাদেশের ডানহাতি এই পেসার এক ওভারেই ফিরিয়ে দেন দুজনকে। খালেদের করা ৩৯তম ওভারের প্রথম বলে ব্যাট চালিয়ে ইনসাইড এজে বোল্ড হন ২২ রান করা রেমন রেইফার। এই ওভারের শেষ বলে একইভাবে ব্যাট চালিয়ে বোল্ড হন এনক্রুমা বনারও।