আঙুলে পাঁচ সেলাই, ছিটকে গেলেন সৌম্য
ক্যাচ মিস করলে সাধারণত ফিল্ডারদের আফসোস করতে দেখা যায়। কিন্তু আজ সৌম্য সরকারের বেলায় তেমন হলো না। ক্যাচ ছুটলেও সেদিকে নজর দিতে পারলে না তিনি, স্লিপে দাঁড়ানো বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ব্যথায় কুঁকড়ে উঠলেন। ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছাড়ার সময় সৌম্যর মুখভঙ্গিই বলে দিচ্ছিল, খারাপ খবর আসতে পারে।
শঙ্কাই সত্যি হলো, সৌম্যর চোট পাওয়া আঙুলে পাঁচটি সেলাই লেগেছে। এই চোটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি খেলা হবে না বাংলাদেশের এই ওপেনারের। খেলতে পারবেন না বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শুরুর অংশেও। অন্তত তিন থেকে চার সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে সৌম্যকে। ম্যাচের পর এক বিবৃতিতে এটা জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ২৭ রানে জয় পাওয়ার ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় আঙুলে বলের আঘাত পান সৌম্য। সপ্তম ওভারের খেলা চলছিল, তানজিম হাসান সাকিবের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল। কিছুক্ষণ আগেই নিকোলাস পুরানের ক্যাচ নিলেও রভম্যানের সহজ ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি সৌম্য।
বল তার হাতে আঘাত করে বেরিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ডান হাতের আঙুল চেপে ধরে বসে যান সৌম্য, পরক্ষণেই মাঠে শুয়ে পড়েন। আঙুল ধরে ব্যথায় কাতড়াতে থাকেন তিনি। মাঠে যান বাংলাদেশ দলের ফিজিও। আঙুলের অবস্থা বিবেচনায় তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
মাঠ ছাড়ার সময়ও ব্যথায় কাতড়াচ্ছিলেন সৌম্য। মাঠ ছেড়েই হয়নি, কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে যেতে হয় হাসপাতালে। অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নেওয়ার পর সৌম্যর হাতে পাঁচটি সেলাই দেওয়া হয়। তার ডান হাতের তর্জনীর অনেকটা অংশ কেটে গেছে।
বিসিবির বিবৃতিতে জাতীয় দলের ফিজিও বায়জেদুল ইসলাম বলেছেন, 'ফিল্ডিং করার সময় সৌম্যর ডান হাতের তর্জনী কেটে গেছে, পাঁচটি সেলাই দিতে হয়েছে। ম্যাচের পর একটি এক্স-রে করা হয়, আঘাত পাওয়া স্থানের হাড় স্বাভাবিক অবস্থান থেকে আংশিক সরে গেছে। সুস্থ হতে আনুমানিক তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগতে পারে তার।'
শেষ ওয়ানডেতে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন সৌম্য। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। আজ অবশ্য বেশ কিছুক্ষণ উইকেটে থেকেও রানের দেখা পানি তিনি। ১৮ বলে একটি চারে ১১ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন সৌম্য। ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বিপিএল রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলবেন তিনি।