এবার বসুন্ধরার এমডি আনভীরের বিরুদ্ধে ‘ধর্ষণের পর হত্যা’র অভিযোগে মামলা
কলেজছাত্রী মোশারাত জাহান মুনিয়াকে 'ধর্ষণের পর হত্যা'র অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান।
সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন তিনি।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আনভীরের বাবা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, মা আফরোজা সোবহান, আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা, শারমিন, সাইফা রহমান মিম, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এবং ইব্রাহিম আহমেদ রিপন।
মামলার এজাহারে বাদী দাবি করেছেন, আসামিরা মুনিয়াকে ঢাকা ছাড়তে বলেছিল, নইলে তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল।
আদালতের বিচারক বেগম মাফরুজা পারভীন মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে আগামী ৬ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
গত ২৬ এপ্রিল রাতে ঢাকার গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ২১ বছর বয়সী মোশারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সেই রাতেই 'আত্মহত্যার প্ররোচনা'র অভিযোগ এনে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়া।
মামলার এজাহারে বলা হয়, 'বিয়ের প্রলোভন' দেখিয়ে সায়েম সোবহান আনভীর সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন মুনিয়ার সঙ্গে। ওই বাসায় তার যাতায়াত ছিল। কিন্তু বিয়ে না করে তিনি উল্টো 'হুমকি' দিয়েছিলেন মুনিয়াকে।
মামলাটির তিনমাসের তদন্তে পুলিশ একবারের জন্যেও আনভীরকে জিজ্ঞাসাবাদ বা আটক করেনি। গত ১৯ জুলাই মামলার একমাত্র আসামি আনভীরের নাম বাদ দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।
পুলিশের ওই প্রতিবেদনে অনাস্থা জানিয়ে মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান অন্য কেনো সংস্থার মাধ্যমে মামলাটি তদন্তের আবেদন করেছিলেন।
তবে তা খারিজ করে ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী গত ১৮ আগস্ট চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে সায়েম সোবহান আনভীরকে কলেজছাত্রী মুনিয়ার 'আত্মহত্যার প্ররোচনা'র অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।