দুদকের মামলায় কেয়া কসমেটিকসের চেয়ারম্যানের আগাম জামিন
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক পাঠান ও স্ত্রী ফিরোজা বেগমের পাসপোর্ট জমা রাখার শর্তে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন শেষ হলে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, "আবদুল খালেক পাঠান ও তার স্ত্রীকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন আদালত। তাদের পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। যাতে তারা বিদেশ যেতে না পারে। এছাড়া তাদের সন্তানদের ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আদালত।"
আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ আবদুল খালেক পাঠান, তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর পৃথক পাঁচটি মামলা করে দুদক।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে ১৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ২৬৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও দুদকের কাছে ৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২০১২ এর ৪(২) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।