বিউটিশিয়ানকে ধর্ষণের অভিযোগ, দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র গ্রেপ্তার
রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিউটিশিয়ানকে গণধর্ষণের ঘটনায় দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার হোম সার্ভিসের কথা বলে বাসায় ডেকে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই বিউটিশিয়ানকে গণধর্ষণ করা হয়।
পুলিশ বলছে, ওই নারী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এ ঘটনায় আরও এক তরুণ ও এক তরুণী জড়িত। ওই দুজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আর গ্রেপ্তার তরুণেরা ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন থেকে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তার দুই ছাত্র হলেন রিয়াদ ও ইয়াসিন হোসেন সিয়াম।
সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিজুল হক বলেন, ধর্ষণের ওই ঘটনায় বুধবার রাতে ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে।
তেজগাঁও বিভাগের এই কর্মকর্তা বলেন, ধর্ষণের পর তিন ধর্ষক তাকে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় তুলে দেন। এ সময় তারা ওই নারীর মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যান। যে বাসায় ধর্ষণ করা হয়েছে, সেটি রিয়াদের। ঘটনার সময় তার মা-বাবা বাইরে ছিলেন। পারলার কর্মীকে যে তরুণী ফোনে ডেকেছিলেন, গ্রেপ্তারের পর তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে। ভুক্তভোগী নারী পুলিশকে বলেছেন, ধর্ষকেরা আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে তাকে ধর্ষণ করেন।
প্রসঙ্গত, ভুক্তভোগী নারী পেশায় একজন বিউটিশিয়ান। আগে বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। করোনা পরবর্তী সময়ে সেবা প্রদানের সুবিধার্থে ফেসবুকে নিজের একটি অনলাইন পেইজ খোলেন। তার কাছ থেকে ইতোপূর্বে সেবা নেওয়া পরিচিত এবং অনলাইনে যোগাযোগ করা নারীদের বাসায় গিয়ে সার্ভিস দিতেন তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে ফোনে তেমনই একটি সেবা প্রদানের অনুরোধ পান তিনি। তসলিমা নামে একজন ফোনটি করেছিলেন বলে ওই নারী জানিয়েছেন। তসলিমার ভাই পরিচয় দিয়ে রিয়াদ নামে একজনও তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সন্ধ্যায় শুক্রাবাদ এলাকায় পৌঁছালে রিয়াদ তাকে জানান তাদের বাসা মূল সড়ক থেকে কিছুটা ভেতরে। ওই নারী বাসায় পৌঁছালে তাকে তসলিমার জন্য অপেক্ষা করতে বলে রিয়াদ।
এর কিছুক্ষণ পর রিয়াদ সিয়াম ও জিতু নামে তার দুই বন্ধুকে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে। তারপর ওই নারীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ওই নারীর মোবাইল ফোনটিও ছিনিয়ে নেয় তারা।