চট্টগ্রামে ধর্ষণের ঘটনার জের ধরে এএসআই সহ ২ কনস্টেবল প্রত্যাহার
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর টাকা নিয়ে ধর্ষককে ছেড়ে দেওয়া ও ইউপি সদস্যের মাধ্যমে সমঝোতার প্রস্তাবের ঘটনায় আনোয়ারা থানা পুলিশের এএসআই ওমর ফারুকসহ দুই কনস্টেবলকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
দুই কনস্টেবল হলেন, মোহাম্মদ রিয়াজ ও মুজিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে এই তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছেন আনোয়ারা থানার ওসি মীর্জা মুহাম্মদ হাছান।
তিনি বলেন, "তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তাদের আনোয়ারা থানার সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রেখে চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সাথে জড়িত এবং দায়িত্বে অবহেলা বা সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এর আগে গত ১৫ মার্চ দুপুরে প্রেমিক রকির সঙ্গে আনোয়ারার পারকি সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যায় এক কিশোরী। সেখান থেকে উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের পূর্ব সিংহরা ইছমতি এলাকায় গেলে রকিসহ তিন যুবক ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
এসময় টহল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাকিরা পালিয়ে গেলেও রকি যেতে পারেনি। এএসআই ওমর ফারুক ওই কিশোরীসহ রকিকে আটক করে কালাবিবি দীঘির মোড় এলাকায় নিয়ে যান।
এরপর অভিযোগ ওঠে, তাদেরকে নিয়ে যাওয়ার দুই ঘণ্টা পর ১৮ হাজার টাকার বিনিময়ে রকিকে ছেড়ে দেন এএসআই। কিশোরীকে বাড়িতেও পৌঁছে দেন তিনি।
ঘটনার পরপরই কিশোরীর ভাই স্থানীয় চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন।
পরে থানায় লিখিত অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ চাতরী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ধনঞ্জন বিশ্বাস ভোলাকে দিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে এক লাখ টাকায় সমঝোতার চেষ্টা করেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কিশোরীর ভাই।
সমঝোতা না করায় পুলিশ ওই কিশোরীকে থানায় নিয়ে সারারাত বসিয়ে রাখে।
পরে ১৮ মার্চ রকিসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করা হয়।
এ ঘটনায় ২২ মার্চ অভিযুক্ত পলাশ (২৬), শীংপকর (২৭) ও চন্দন (২৫) কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।