ট্রান্সকম গ্রুপের সিইও সিমিন রহমান ও তার ছেলের বিরুদ্ধে ‘হত্যা’ মামলা ছোট বোনের
ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে হত্যার অভিযোগে ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান ও তার ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন তার ছোট বোন শাযরেহ হক।
শুক্রবার (২২ মার্চ) রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলা করেন শাযরেহ হক।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'শুক্রবার রাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।'
এই হত্যা মামলায় সিমিন রহমান ছাড়া অন্যান্য আসামিরা হলেন: সিমিন রহমানের ছেলে ও ট্রান্সকম লিমিটেডের হেড অভ ট্রান্সফরেশন যারাইফ আয়াত হোসেন, কর্পোরেট অ্যাফেয়ারসের (আইন) নির্বাহী পরিচালক মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, কর্পোরেট ফাইনান্সের পরিচালক মো. কামরুল হাসান, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের ম্যানেজার সেলিনা সুলতানা, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের ম্যানেজার কেএইচ মো. শাহাদত হোসেন, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের ম্যানেজার (মেডিক্যাল অ্যাফেয়ার্স) ডা. মুরাদ, মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস বিভাগের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জাহিদ হোসেন, রফিক ও মিরাজুল।
এর গত ২১ ফেব্রুয়ারি ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি কোম্পানির শেয়ার ও সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে– ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যানের মেয়ে শাযরেহ হক তার বড় বোন, ট্রান্সকম গ্রুপের বর্তমান সিইও সিমিন রহমান এবং গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান, তাদের মা শাহনাজ রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
২২ ফেব্রুয়ারি সিমিনের দায়ের করা তিন মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
মামলার নথিতে বলা হয়েছে, সিমিন ও তার সহযোগীরা জাল দলিল ব্যবহার করে তার বাবা লতিফুর রহমানের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ অবৈধভাবে আত্মসাতের চেষ্টা করেছেন।
নথিতে আরও বলা হয়, ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান মৃত্যুর সময় একাধিক ব্যাংকে এফডিআর হিসাবে ১০০ কোটি টাকা রেখে গিয়েছিলেন।
বাদী তার মা ও বোন সিমিনের বিরুদ্ধে অসমভাবে এফডিআর বণ্টনের অভিযোগ করেছেন। বাকিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতে সহায়তা করার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার নথিতে আরও বলা হয়েছে, বাদীকে জানানো হয়েছিল তাঁর পিতা তাঁকে ৪ হাজার ২৭০টি শেয়ার, তার ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে ৪ হাজার ২৭০টি শেয়ার এবং তার বোনকে ১৪ হাজার ১৬০টি শেয়ার হস্তান্তর করেছেন।
কিন্তু বাদী কখনোই হস্তান্তর দলিলে স্বাক্ষর করেননি বলে দাবি করেছেন। তার বাবাও জীবিতাবস্থায় কখনও হস্তান্তর দলিলে স্বাক্ষর করেননি বলে দাবি করেছেন বাদী।
বাদী শাযরেহ হক অভিযোগ করেন, আসামিরা এসব নথি জাল করেছেন।