শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তায় টাস্কফোর্স গঠন করে সেনাবাহিনীর টহল পরিচালনা
শিল্প কলকারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে টাস্কফোর্স গঠন করে সেনাবাহিনী টহল পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছেন সাভার সেনানিবাসের কর্নেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
একইসাথে বড় পরিসরে কোনো সমস্যা তৈরি হলে সেনাবাহিনীর কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে বলেও আশ্বস্ত করেন এই সেনা কর্মকর্তা।
শুক্রবার (৯ই আগস্ট) সকালে আশুলিয়ায় বেশ কিছু পোশাক কারখানা ও এর আশেপাশের এলাকা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় স্প্যারো গ্রুপের পরিচালক ও তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ'র পরিচালক শোভন ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমাদের যেখানে শিল্প কারখানা আছে, সেখানে নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর সেল গঠন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রচুর টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে শ্রমিকরা বুঝতে পারেন তাদের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং তারা সবাই যেন নিরাপদে কারখানাগুলোতে কাজ করতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, 'আমাদের শ্রমিকরা কাজের জন্য অত্যন্ত আগ্রহী। গতকালও যেসব কারখানা খোলা ছিল, সেখানে ৯০ শতাংশের বেশি শ্রমিক কাজ করেছেন। কাজেই আমরা সবাইকে অনুরোধ করব, সবাই নির্ভয়ে খুশি মনে কাজে আসুন'।
শোভন ইসলাম বলেন,'আমাদের এক্সেপোর্ট যাতে কোনোভাবেই বিলম্বিত না হয়। বায়ারের কাছে যাতে কোনোভাবে আমাদের বলতে না হয় যে আমরা এক্সেটেনশন চাই। আমাদের কাজের যে ব্যাঘাত ঘটেছে, আমরা কোনোভাবেই সেটা বলতে চাই না।' আগামীকালের মধ্যে তাদের সব ফ্যাক্টরি চালু হয়ে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সাভার সেনানিবাসের কর্নেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, 'বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় ফ্যাক্টরি ও কল-কারখানাগুলোতে টহল পরিচালনা শুরু করেছে। এজন্য আমরা টাস্কফোর্স গঠন করেছি। প্রতিটি টাস্ক ফোর্স প্রতিটি সেক্টর ভাগ করে নিয়েছে। সেই সেক্টর অনুযায়ী জোনভিত্তিক আমরা টহল পরিচালনা করছি। আমাদের মূল উদ্দেশ্যে হচ্ছে, বাহ্যিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে যখন ভালো পরিবেশ সৃষ্টি হবে তখন সবাই আনন্দ নিয়ে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, 'টাস্কফোর্সের সাথে অন্যান্য বাহিনীও আমাদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে। ছোট ছোট বাহ্যিক নিরাপত্তার পাশাপাশি বড় পরিসরে কিছু হলে আমাদের 'কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্স' দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে।'