আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে গায়ের জোরে টিকে থাকতে চায়: ফখরুল
আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে— তখনই জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অতীতের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের আগেও দেশে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। তারা তখনো সারাদেশে লুটপাট, ষড়যন্ত্র, হত্যা, গুম করে ক্ষমতায় টিকে ছিল এবং তাদের দুঃশাসনের ফলে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ও বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা যখনই ক্ষমতায় আসে— তখনই জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়, ও দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দেয়।
আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে ছাত্র সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে এসেছিলেন। তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতাসহ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে পালিয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। অনেক ছাত্রকে হত্যা করেছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থেকেছে।
ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ছাত্রদলকে সবসময় জ্ঞানভিত্তিক চর্চা ও জ্ঞানভিত্তিক রাজনীতি করতে হবে। বিগত বছরগুলোতে ছাত্রদল অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা সহ্য করেছে, মামলা-মোকদ্দমার শিকার হয়েছে। এখন আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা ফ্যাসিবাদ-মুক্ত হতে পেরেছি। এখন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলার। আজকের এ ছাত্ররাই তা পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আজকে আমাদের সব থেকে বেশি প্রয়োজন ছাত্র ও জনগণের ঐক্য।
সমাবেশে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ কায়েসসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।