বিশ্বের সর্ববৃহৎ শিপিং কোম্পানি মায়েরস্ক, বিশ্ববাণিজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা জানাচ্ছে
বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজে কনটেইনার পরিবাহী কোম্পানি এপি মোলার– মায়েরস্ক এ/এস। বুধবার (২ নভেম্বর) কোম্পানিটি তাদের তৃতীয় প্রান্তিকেও রেকর্ড মুনাফার ঘোষণা দিয়েছে। এই লাভ হয়েছে সমুদ্রপথে কনটেইনার বহনের উচ্চ ভাড়ার সুবাদে। তবে একইসাথে গ্রাহকদের চাহিদায় ভাটা পড়তে শুরু করেছে বলেও উল্লেখ করেছে কোম্পানিটি। খবর সিএনবিসির
মহাকায় ডেনিশ সংস্থাটিকে বিশ্ববাণিজ্যের আবহাওয়া পরিমাপের ব্যারোমিটার বলেই মনে করা হয়।
সুদ, কর ও মুদ্রার অবমূল্যায়ন এবং কিস্তিতে নানান দেনা পরিশোধের পূর্বে তৃতীয় প্রান্তিকে মায়েরস্কের ঘোষিত মুনাফা হলো ১০.৯ বিলিয়ন ডলার। বিশ্লেষকরা ৯.৮ বিলিয়নের প্রক্ষেপণ করেছিলেন। একইসাথে গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের চেয়েও ৬০% মুনাফা বেড়েছে।
কোম্পানিটি তাদের চলতি বছরের মোট পরিশোধ দায় ৩৭ বিলিয়ন ডলার বলে জানিয়েছে। পরিচালন ও অন্যান্য মূলধনী ব্যয় মেটানোর পর কোম্পানির হাতে থাকা অর্থের অঙ্ক ২৪ বিলিয়ন ডলার।
মায়েরস্ক সিইও (প্রধান নির্বাহী) সোরেন স্কোউ বলেন, 'সমুদ্রে মালবাহী ভাড়া বৃদ্ধির সুবাদে এবছরে ব্যতিক্রমী সাফল্য এসেছে। তবে এটা ঠিক আমরা বুঝতে পারছি, ভাড়া বৃদ্ধি সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছে। চতুর্থ প্রান্তিকেই ভাড়া নেমে আসা শুরু করবে। সাথে সাথে কমবে গ্রাহকের চাহিদা। সরবরাহ চক্রেও তাতে জট কমার বিষয়টি লক্ষ করা যাবে'।
আগামী মাসগুলোয় মায়েরস্কের সামুদ্রিক বাণিজ্য থেকে আয় কমে আসবে বলেও ইঙ্গিত দেন স্কোউ।
বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'ইউক্রেনে যুদ্ধ, ইউরোপে জ্বালানি সংকট, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সঙ্গে আসন্ন বিশ্বমন্দা– দিগন্তে এখন অনেক অন্ধকার মেঘে ছেয়ে গেছে'।
'এসব ঘটনায় ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার ওপর চাপ বাড়ছে; আর ভোক্তা চাহিদা না থাকলে– পণ্য বহনের বৈশ্বিক বাণিজ্যেও অবধারিত আঘাত আসবে। আমরা সকলেই এখন বিশ্ব অর্থনীতি মন্থর হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছি; আর তাতে করে সাগরপথের বাজারও দুর্বল হবে। তবে আমরা নিজস্ব লজিস্টিকস ব্যবসার মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির অর্জনের চেষ্টা অব্যাহত রাখব'।
এর আগে দ্বিতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদনেও অনতিবিল্মবে বিশ্বমন্দার শঙ্কা প্রকাশ করেছিল মায়েরস্ক।