রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ
সাংসদ পদ খারিজ করা হলো ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। গতকালই গুজরাটের আদালতের পক্ষ থেকে রাহুলকে দুই বছরের সাজা শোনানো হয়েছিল। এই আবহে আজ লোকসভার সচিবালয়ের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ খারিজ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল গুজরাটের সুরাট জেলার দায়রা আদালত কংগ্রেস সাংসদকে দোষী সাব্যস্ত করে মানহানির মামলায়। এই মামলায় রাহুল গান্ধীকে দু'বছরের কারাদণ্ড এবং ১৫ হাজার টাকার জরিমানার সাজা শোনায় আদালত। তবে আপাতত এক মাসের জন্য রাহুলকে জামিন দেওয়া হয়েছে যাতে তিনি উচ্চ আদালতে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন জানাতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। আজ সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল ভারতীয় লোকসভার সচিবালয়।
উল্লেখ্য, আইন অনুযায়ী, কোনও জনপ্রতিনিধি যদি দুই বা তার অধিক বছরের জন্য কারাদণ্ডের সাজায় দণ্ডির হন, তবে তৎক্ষণাত তার পদ খারিজ হবে। এই আবহে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয় আজ।
রাহুলের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মানহানির মামলা করেছিলেন গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেন্দু মোদি। মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, গোটা মোদি সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন রাহুল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়। গতকাল আদালত জানায়, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে কারাদণ্ডের সাজার পরই রাহুল জামিন পেয়ে যান। আইন মেনে আজ সদস্যপদ খারিজ হলো রাহুলের।
এদিকে রাহুল দায়রা আদালতের এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সরাসরি হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারবেন না, কারণ এটা ফৌজদারি মামলা ছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় এক জনসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল বলেছিলেন, 'সব মোদিরা কেন চোর হয়?' তিনি নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে, নীরব মোদি, ললিত মোদিকে বোঝাতে এই মন্তব্য করেছিলেন। তবে এতে 'মোদি' পদবীর সকলের অপমান হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই মর্মে সুরাটের এক আদালতে রাহুল গান্ধীর নামে মামলা হয়েছিল। সেই মামলারই রায় দান করে আদালতের তরফে জানানো হয়, রাহুল গান্ধী দোষী।