অধিনায়কত্বের প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত এমবাপ্পে
দুই দলের সামনেই ছিল নতুন শুরুর চ্যালেঞ্জ। হুগো লরিসের বিদায়ের পর এই ম্যাচ দিয়েই অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপ্পের যুগে প্রবেশ করেছে ফ্রান্স। কাতার বিশ্বকাপের পর ডাচরা বদলেছে কোচ।
ডাচদের ফুটবলে আবারও শুরু হয়েছে রোনাল্ড কোমান যুগ। দুই দলের নতুন শুরুতে প্রথম জয়টা এমবাপ্পের ফ্রান্সের।
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে কোমানের নেদারল্যান্ডসকে উড়িয়ে দিয়েছে এমবাপ্পের দল। এমবাপ্পের জোড়া গোলে ফ্রান্স জিতেছে ৪–০ গোলে।
অধিনায়কত্ব না পাওয়ার অভিমানে জাতীয় দলকে বিদায় জানাতে পারেন গ্রিজম্যান, এই ম্যাচের আগে এমন কথাও শোনা গিয়েছিল। গ্রিজম্যানের হতাশার বিষয়টা এমবাপ্পে বুঝতে পেরে তার সঙ্গে কথা বলেছেন।
এমবাপ্পের কথাতে যদি গ্রিজম্যানের অভিমান নাও ভাঙে, এমবাপ্পের সহায়তায় গোল করে অভিমানের বরফ কিছুটা হলেও গলতে পারে গ্রিজম্যানের! ম্যাচের মাত্র ২ মিনিটেই এমবাপ্পের সহায়তা থেকে গোল করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। গ্রিজম্যানের গোলের পর ৮ মিনিটে ফরাসিদের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দায়ো উপামেকানো।
অধিনায়ক হিসেবে গোল পেতে এমবাপ্পেকেও বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ২১ মিনিটে অরেলিয়েন চুয়ামেনির পাস থেকে গোল করেন এমবাপ্পে। প্রথমার্ধে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও নেদারল্যান্ডসের আক্রমণ ফরাসিদের রক্ষণভেদ করার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
ফ্রান্সের আক্রমণ দিয়েই শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধ। ৩ গোলে পিছিয়ে থেকে নেদারল্যান্ডসও ম্যাচে ফেরার চেষ্টাটা চালিয়ে যায়।
৭৭ মিনিটে গ্রিজম্যানকে তুলে নেন দিদিয়ের দেশম।৭৮ মিনিটে সহজ একটি সুযোগ মিস করেন এমবাপ্পে। ফরাসি অধিনায়কের শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন ডাচ গোলরক্ষক।
তবে বেশিক্ষণ আর তাকে আটকে রাখা যায়নি। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করেন এমবাপ্পে। এই গোলে তিনি ফ্রান্স জাতীয় দলের পঞ্চম সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে যান, ছাড়িয়ে গেছেন করিম বেনজেমাকে।
ফ্রান্সের হয়ে এমবাপ্পের গোল এখন ৩৮টি। ম্যাচের শেষ মুহুর্তে নেদারল্যান্ডস পেনাল্টি পেলেও গোল করতে পারেননি ডিপাই।