নির্বাচনের বছর, কামালের জন্য চড়াই-উৎরাই পেরোনোর লড়াই
২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৮৮ শতাংশ, সে বছরেই নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। তখন কেউই ভাবতে পারেনি, আর মাত্র এক বছরেরও কম সময়ে প্রবৃদ্ধি অর্ধেকেরও কমে নেমে আসবে।
একটি ভাইরাস যে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে জীবনযাত্রা ও ব্যবসাবাণিজ্যকে বিপর্যস্ত করবে – সে বিষয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের অর্থমন্ত্রীদের মতোন কামালও সতর্ক হতে পারেননি।
তারপর আসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, এতে বৈশ্বিক সরবরাহ চক্র ব্যাহত হয়ে জ্বালানি, খাদ্য, সার থেকে শুরু করে সবকিছুরই দাম বেড়ে যায়।
চার বছর আগে, কামাল যখন তার প্রথম বাজেট উত্থাপন করেন – তখন অর্থনীতি ছিল শক্তিশালী, মূল্যস্ফীতিও ছিল নিম্ন। বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় দিকই ছিল প্রথম বাজেটে তার বড় স্বপ্ন দেখার অনুকূলে।
আগামী জুলাই থেকে শুরু হতে চলা নতুন অর্থবছরে প্রবৃদ্ধিকে চাঙ্গা করার আগে তাকে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ, রিজার্ভ গঠন, ভর্তুকির খরচ পরিশোধ এবং বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণের মতো বড় কাজগুলো করতে হবে।
বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশ ছাড়িয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতেও যা ছিল ৬ শতাংশের নিচে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম ৩.৪৫ শতাংশ মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়। সেখান থেকে জিডিপির উত্তরণ ঘটলেও এখনও তা মহামারি-পূর্ব সময়ের চেয়ে নিম্ন অবস্থানে।
২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার আগেই কামাল এই মন্ত্রণালয়ের কর্মপদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আনা এবং অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী অবস্থানে আনার বিষয়ে তার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন।
তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
২০১৯ সালের ১১ জুন তিনি ঘোষণা দেন, খেলাপি ঋণ আর 'এক টাকাও' বাড়বে না। সে সময়ে ব্যাংকখাতে খেলাপি ঋণ ছিল ৯৯,৭৩০ কোটি টাকা। যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৩১,৬২০ কোটি টাকায়।
মুস্তফা কামাল যিনি একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট-ও – বর্তমান দায়িত্ব নেওয়ার আগে ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রীর পদে। তিনি বলেছিলেন, অর্থনীতির সমস্যাগুলো সম্পর্কে তিনি ভালোভাবেই অবগত, যার সমাধান করা তার পক্ষে খুব একটা কঠিন হবে না।
কিন্তু, সময় খুব বেশিদিন তার অনুকূলে থাকেনি।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) কামাল যখন জাতীয় সংসদে তার পঞ্চম এবং সরকারের এই মেয়াদের শেষ বাজেট সংসদে উত্থাপন করবেন – ঠিক তখনই একের পর এক সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে অর্থনীতিতে। আওয়ামী লীগ সরকারের ১৪ বছরের শাসনকালে যেমনটা এর আগে কখনো দেখা যায়নি।
ভঙ্গুর আর্থিক খাত, রাজস্ব প্রশাসনের দুর্বলতা ও প্রকল্প বাস্তবায়নের দুর্বল সক্ষমতার মতোন অন্তর্নিহিত সমস্যাগুলো – দুটি বিধ্বংসী ঘটনা – করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আরো গুরুতর রূপ নেয়।
সংকটময় পরিস্থিতি এখন অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি জটিল। গত চার বছরে অর্থনীতির অনেক সূচকের সংখ্যায় অবনতি হয়েছে। প্রবৃদ্ধির হারানো গতি ফিরে পেতে আরো অনেক সংখ্যাতেও সংশোধন আনতে হবে।
এদিকে বাজেটের আকার ক্রমে বড়ই হয়েছে – ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৫.২৩ লাখ কোটি টাকা থেকে চলতি অর্থবছরে যা ছিল ৬.৭৮ লাখ কোটি টাকার। আগামী অর্থবছরে যা হতে পারে ৭.১৫ লাখ কোটি টাকার বেশি।
গত বছরের ৯ জুন চলতি অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করেছিলেন যে, দ্রুতই রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের অবসান হবে। আর অর্থনীতিও তেমন গতিতে মহামারি-পূর্ব অবস্থায় ফিরবে। কিন্তু, শান্তি প্রতিষ্ঠার আপাত কোনো লক্ষণ ছাড়াই যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় – তার এই অনুমান ভ্রান্ত বলেই প্রমাণিত হয়েছে।
গত দুই দশক ধরে সামষ্টিক অর্থনীতির যে স্থিতিশীলতা ছিল, এখন তার অবনতি হয়েছে। রাজস্ব আদায়, সরকারি ঋণ, ঘাটতি, মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ, আর্থিক হিসাব ও কর্মসংস্থান-সহ নানান খাতে তারই নেতিবাচক প্রবণতা প্রতিফলিত হচ্ছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এসব চ্যালেঞ্জ বিশেষভাবে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা রাশিয়ার বাণিজ্যিক এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যা তেল এবং গ্যাসের মতো খাতকে প্রভাবিত করে।
ফলস্বরূপ; গত বছরের জুনে জ্বালানি তেলের দাম তীব্রভাবে বেড়ে প্রতি ব্যারেল ১৩০ ডলারে পৌঁছায়। এশিয়ার খোলা বাজারে (স্পট মার্কেট) এলএনজি বা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের দর ২০২২ সালের তৃতীয় প্রান্তিক নাগাদ ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়। এছাড়া, বাংলাদেশের কৃষিখাত সার আমদানির ওপর নির্ভরশীল হওয়ায়, খরচ আরো বেড়ে যায়।
এসব ঘটনা বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ওপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করে, গত বছরে যা ৪১ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩১ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকারও প্রায় ২৫ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে।
আমদানি নিয়ন্ত্রণের প্রতিক্রিয়ায় – জুন নাগাদ জিডিপিতে করের অবদান শূন্য দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়ানো, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ বাড়ানো এবং ভর্তুকি কমানোসহ – সার্বিক শর্তাবলীর আওতায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৪.৭ বিলিয়ন ঋণ প্যাকেজের অনুমোদন দেয়।
এদিকে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের বোঝা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা চলতি অর্থবছরের জন্য বরাদ্দকৃত ৭,০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ফলে সরকার ব্যাংকখাত ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে শুরু করেছে। এতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও ভোক্তাদের ওপর আর্থিক চাপ বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে।
এসব চ্যালেঞ্জ তো আছেই, তার ওপর আবার এটা নির্বাচনের বছর। এই দিকটিও মাথায় রেখে অর্থমন্ত্রীকে আগামী বছরের বাজেট উত্থাপন করতে হচ্ছে। দেশের অর্থনীতির উন্নতি সাধনে অর্থমন্ত্রী বাজেটে কী কী পদক্ষেপ নেন – তা জানতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ব্যবসায়ী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ তার এক-পঞ্চমাংশ তৈরি পোশাক রপ্তানি করে যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের মার্কিন হুমকিও আরেকটি উদ্বেগের বিষয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে।
এমন সব প্রতিকূলতার মধ্যেই আইএমএফের ৪.৭ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা পাওয়ার শর্ত মেনে কামালকে আরো করদাতাকে করজালের আওতায় আনা, ব্যাংকখাতে শৃঙ্খলা ফেরানো, সময়নির্দিষ্টভাবে নেট রিজার্ভ গঠনের বিষয়ে তার পরিকল্পনা তুলে ধরতে হবে। যুদ্ধ ও মহামারির মতো পর পর দুই বৈশ্বিক সংকটে অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে এমন পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন খুবই প্রয়োজন।
এটা হবে নির্বাচনী বছরের বাজেট এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার ক্যারিয়ারের কঠিনতম পরীক্ষা।
দুর্বলতার প্রধান বিষয়গুলো
উচ্চ মূল্যস্ফীতি: গত এক বছর ধরে চলমান লাগামহীন মূল্যস্ফীতিতে মানুষের ক্রয়-ক্ষমতা কমেছে। শাক-সবজি, অন্যান্য খাদ্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সবেরই দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। অন্য অনেক দেশে এরমধ্যে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করলেও, বাংলাদেশে তার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এপ্রিলে বাংলাদেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.২৪ শতাংশ, মার্চে যা ছিল ৯. ৩৩ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির কবলে আয়ব্যয়ের সামঞ্জস্য রাখতে হিমশিম খাচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের জন্য বাজেটে সহায়তাও দরকার।
রাজস্ব সংগ্রহ: চলতি অর্থবছরে ৩,৭০,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল সরকার। কিন্তু, এপ্রিল পর্যন্ত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে আদায় করা গেছে মাটর ২,৫০,০০০ কোটি টাকা। ফলে বাকি দুই মাসে ১,২০,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের অসাধ্য সাধন করতে হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-কে। আদায়ে এই ঘাটতির পেছনে অন্যতম কারণ আমদানিতে বিধিনিষেধ। ফলে বিলাসপণ্য আমদানি কমেছে, যা রাজস্বের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস।
বাজেট ঘাটতি: ২০২২-২৩ অর্থবছরের মোট ৬,৭৮,০৬৪ কোটি টাকার বাজেটে ২,৪৫,০৬৪ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হিসেবে প্রাক্কলন করা হয়েছে, যা জিডিপির ৫.৫ শতাংশের সমান। বৈদেশিক উৎস থেকে এই ঘাটতি পূরণের অর্থ না পেয়ে সরকার অভ্যন্তরীণ উৎস – বিশেষত ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিতে শুরু করে। অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের প্রবণতা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ১,০৬,৩৩৪ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ। কারণ, এরমধ্যেই নেওয়া হয়েছে ৮২ হাজার কোটি টাকার বেশি। সরকারের এত বেশি টাকা নেওয়ার ঘটনাই উচ্চ মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি বহন করে।
টাকার অবমূল্যায়ন ও ডলার সংকট: গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর কিছু সময় আগে এক মার্কিন ডলারের সাথে বাংলাদেশি টাকার বিনিমর দর ছিল ৮৬ টাকা। কিন্তু, যুদ্ধ শুরুর কয়েক মাসের মধ্যেই তা বেড়ে ১১০ টাকা হয় এবং আরো বাড়তে থাকে। এতে সরকার ও বেসরকারি খাত উভয়েই নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হয়। এই স্বল্প সময়ের ব্যবধানে টাকার প্রায় ২৫ শতাংশ অবমূল্যায়নের ফলে কাঁচামাল, জ্বালানির দাম বাড়ে। সরকার ও বেসরকারি খাত উভয়ের জন্য বিদেশি ঋণগ্রহণ ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। এসময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানি কমানোর পদক্ষেপ নিলেও – মাসে অন্তত ৫ বিলিয়ন ডলার গড় আমদানি ব্যয় হয়, যা আগের বছরে ছিল ৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকট এখনও অব্যাহত আছে, এতে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
অর্থনৈতিক মন্দাভাব: চলতি অর্থবছরের জন্য প্রাথমিকভাবে বাজেটে ৭.৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল সরকার। তবে ছয় মাস পর তা সংশোধন করে ৬.৫ শতাংশ করা হয়। আর অতিসম্প্রতি তা আরো কমিয়ে ৬.০৩ শতাংশ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অনুমান, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫.২ শতাংশ হবে। আর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের মতে, প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৩ শতাংশ। ফলে বার্ষিক যে ২০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান দরকার, তারা এখন ঘোর অনিশ্চয়তায়।
মুক্তির উপায় আছে কি?
বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং দীর্ঘমেয়াদী টেকসইতা নিশ্চিত করতে আর্থিক সংহতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর্থিক সংহতি অনুসরণ করার মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাজেট ঘাটতি হ্রাস করা, অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব প্রশমিত করা, রাজস্বের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, বাজারের আস্থা পুনরুদ্ধার করা, সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলা করা এবং রাজস্ববিধি বা চুক্তি মেনে চলা।
সক্রিয়ভাবে বাজেট ঘাটতি মোকাবিলা করে, সরকারি ঋণ কমিয়ে এবং দায়িত্বশীল রাজস্ব ব্যবস্থাপনার অঙ্গীকার প্রদর্শন করে – সরকার বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে পারে, অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে পারে এবং ভবিষ্যতের অভিঘাত বা চ্যালেঞ্জ সহ্য করতে সক্ষম আরও স্থিতিস্থাপক আর্থিক কাঠামো তৈরি করতে পারবে।