বাড্ডা, কুড়িল, খিলক্ষেতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের অবরোধ
ঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে আজ (২০ মে) সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো রাস্তায় নেমেছেন শত শত রিকশাচালক।
সকাল থেকে রাজধানীর রামপুরা-বাড্ডা, কুড়িল ও খিলক্ষেত এলাকায় রিকশাচালকদের বিক্ষোভ মিছিলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একাংশ রামপুরা-বাড্ডা সড়কের ওয়াপদা সড়ক থেকে আবুল হোটেল মোড় পর্যন্ত অবরোধ করে রাখে।
যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পুলিশ উত্তেজিত রিকশাচালকদের ছত্রভঙ্গ করলে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
প্রায় ৪৫ মিনিট অবরোধের পর ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল শুরু হয় বলে নিশ্চিত করেন রামপুরা ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার মো. আরিফুল ইসলাম।
এদিকে, বিক্ষোভকারীদের আরেকাংশ খিলক্ষেত-বিশ্বরোড অবরোধ করে রেখেছে বলে জানা গেছে।
বাড্ডা-কুড়িল সড়কের বাশতলা এলাকায়ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের বিক্ষোভ চলছে।
অবরোধের কারণে মালিবাগ ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অভিমুখী সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, সড়কে ট্রাক উল্টে যাওয়ায় মহাখালী থেকে বিজয় স্মরণী সড়কে দুই ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল; এতে আরও দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী।
শের-ই-বাংলা ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট আশিকুর রহমান জানান, তিনটি রেকার ট্রাকের সাহায্যে রাস্তা থেকে দুর্ঘটনার শিকার ড্রাম ট্রাকটি সরানো হয়েছে। এতে কয়েক ঘণ্টা লাগায়, এই সময়ে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
এর আগে, রোববার (১৯ মে) রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের ঘোষণার প্রতিবাদে মিরপুর ১০-এ সড়ক অবরোধ করেন অটোরিকশা চালকরা। গত কয়েকদিন ধরে পুলিশ তাদের ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করার পর গতকাল প্রথমবারের মতো সড়ক অবরোধ করেন তারা।
এদিন, অটোরিকশা চালকরা মিরপুর ১০, ১১ ও মিরপুর বাংলা কলেজ এলাকায় মিছিল করে পরে ১০ নম্বর মোড়ে অবস্থান নেন।
এর আগে, গত ১৫ মে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) উপদেষ্টা পরিষদ ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
বৈঠকের সভাপতিত্ব করা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের কারণে সারা দেশে দুর্ঘটনা বাড়ছে, এসব যানবাহনের সঙ্গে জড়িত মৃত্যুর হারও বেশি।