মানিয়ে নিতে শিখেছেন সৌম্য
জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর খুব বেশিদিন হয়নি। গত ফেব্রুয়ারিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন সৌম্য সরকার। বিয়ের কদিন পরই বাংলাদেশের এই ক্রিকেটার বুঝতে পারেন, জীবন অনেকটাই বদলে গেছে। তবে পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়নি তার। একইভাবে করোনভাইরাসের কারণে লকডাউনেও নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
করোনাভাইরাসের কারণে গত মার্চের মাঝামাঝি সময়ে দেশের সব ধরনের ক্রিকেট স্থগিত করা হয়। মাঝের এই পাঁচ মাস অন্যদের মতো ঘরবন্দি অবস্থায় কেটেছে সৌম্যরও। শুরুতে খারাপ লাগলেও পরবর্তীতে পরিবারের সঙ্গে সময়টা মন্দ যায়নি তার। এ সময়ে শুধু খেলা থাকলেই লকডাউনটা উপভোগ্য হয়ে উঠতো বলে মনে করেন সৌম্য।
ঈদের ছুটির পর দ্বিতীয় দফায় শুরু হওয়া একক অনুশীলনে নাম লিখেয়েছেন সৌম্য। বিসিবির স্বাস্থ্যবিধি মেনে মিরপুরে নিয়মিত অনুশীলন করে যাচ্ছেন তিনি। বৃহস্পতিবারও সূচি অনুযায়ী অনুশীলন করেছেন টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যান। এদিন ইনডোরে ব্যাটিং ও মিরপুর স্টেডিয়ামের মূল মাঠে রানিং করেন সৌম্য।
লকডাউনে কাটানো সময় নিয়ে সৌম্য বলেন, 'অন্য সবদিক দিয়ে চিন্তা করলে ভালো কেটেছে। শুধু একটা দিক দিয়ে খারাপ কেটেছে, কারণ খেলা ছিল না। এ ছাড়া পরিবারকে সময় দিতে পেরেছি। প্রথম দিকে একটু খারাপ লাগতো, পরের দিকে মানিয়ে নিয়েছি। যদি খেলা থাকতো, তাহলে আমার কাছে মনে হয় কোয়ারেন্টিনটা অনেক ভালো ছিল (হাসি)।'
আগামী মাসে শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই খবরে বাকিদের মতো স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন সৌম্যও, 'অবশ্যই স্বস্তির যে অন্তত আমাদেরও খেলা শুরু হতে যাচ্ছে। যখন খেলা দেখতাম ইংল্যান্ডের, খারাপ লাগতো যে আমরা কবে খেলব। অবশ্য ভালোও লাগতো যে খেলা শুরু হয়েছে। গতকাল শোনা গেল আমাদের সফর নিশ্চিত হয়েছে। এমন খবরে অনেক ভালো লাগছে।'
শুধু খেলার কথা ভাবলেই হচ্ছে না, নিরাপত্তার বিষয়টিও মাথায় রাখছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তিনি বলেন, 'স্বাস্থ্য নিরাপত্তা একটা বড় ইস্যু। দলও একটা পরিবারের মতো। সবাই নিজেকে নিরাপদ রেখে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। যেসব নিয়ম থাকবে, সেসব মেনেই মাঠে খেলতে নামাটা ভালো হবে । কারণ যেকোনো একজন আক্রান্ত হলে বাকিরাও ভুক্তভোগী হবে।'
দীর্ঘদিন ক্রিকেট খেলা হয়নি। ছিল না অনুশীলনের সুযোগও। তবে মাসখানেক আগে সফরে যাওয়ায় মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে না বলে মনে করেন সৌম্য, 'প্রথম সব জিনিসই একটু অন্য রকম থাকে। আমার কাছে মনে হয় এক মাসে আগে যদি যায়, তাহলে দলের সবাই অনুশীলনের মধ্যে থাকবে। একটু বেশি হলেও নিরাপত্তার কারণে করতে হবে। এটাও টিম ওয়ার্ক হিসেবেই ধরতে হবে।'
খেলা শুরুর বেশ আগেই মাঠের অনুশীলনে ফেরার সুযোগ হয়েছে। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে আগের ছন্দের সঙ্গেই শুরু করতে পারবেন বলে বিশ্বাস সৌম্য। বাংলাদেশ ব্যাটসম্যান বলেন, 'সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলেছি। দুটোই ভালো ছিল। তো চেষ্টা করব ওখান থেকেই নতুন করে শুরু করার। যেহেতু খেলায় চলে আসছি, শতভাগ নিয়েই নামতে হবে।'