কানাডা কখনও যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হবে না—ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ট্রুডোর
সোমবার (৬ জানুয়ারি) কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্যে বানানোর ইচ্ছা পোষণ করেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তার এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
ট্রুডো এক্স-এ এক পোস্টে লিখেছেন, 'কানাডা কখনো যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে, এমনটা কখনও হবে না।' তিনি আরও বলেন, 'আমাদের দুই দেশের শ্রমিকরা ও সম্প্রদায়গুলো একে অপরের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক এবং নিরাপত্তা অংশীদার হওয়া থেকে উপকৃত হয়।'
মার-এ-লাগোতে একটি অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি কি কানাডা অধিকার করতে সামরিক শক্তি ব্যবহার করার কথা ভাবছেন? জবাবে তিনি বলেন, না, অর্থনৈতিক শক্তি। কারণ কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্র, সেটা আসলেই একটা ব্যাপার হতে পারে।
মঙ্গলবার, কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানী জোলি ট্রাম্পের মন্তব্যকে 'কানাডার শক্তির প্রকৃতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞতা' বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, 'আমরা হুমকির মুখে কখনও পিছু হটবো না।'
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে সোমবার এক পোস্টে বলেন, 'কানাডার অনেক মানুষ আমাদের ৫১তম রাজ্যের অংশ হতে পছন্দ করে। কানাডাকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি এবং ভর্তুকির চাপ যুক্তরাষ্ট্র ভোগ করবে না। জাস্টিন ট্রুডো এটা জানতেন এবং তাই তিনি পদত্যাগ করেছেন।'
তিনি আরও মন্তব্য করেন, 'যদি কানাডা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত হয়, তাহলে সেখানে কোনো শুল্ক থাকবে না, কর অনেকটাই কমে যাবে এবং তারা রাশিয়ান ও চীনা জাহাজের হুমকি থেকে সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ থাকবে। এক সঙ্গে, এটা একটি মহান জাতি হবে!!!'
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় কানাডা এবং মেক্সিকোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির ওপর ব্যাপক সমালোচনা করেছেন এবং বিদেশি প্রতিযোগীদের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করার পরিকল্পনাকে তার প্রধান কর্মসূচি হিসেবে তুলে ধরেছিলেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই তিনি কানাডা থেকে আমদানিকৃত সকল পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। এর পরেই ডিসেম্বরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো যুক্তরাষ্ট্রে সফরে যান এবং ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সেই সময়েও ট্রাম্প ট্রুডোকে বলেছিলেন যে কানাডা যেন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হয়ে যায়।