ট্রাম্পের শুল্ক কার্যকর হতেই মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক বসাল চীনও
![](https://tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/04/6a6fe7e3-baf5-42cf-bb01-0da2d2a658bb_8c052b60.jpg)
যুক্তরাষ্ট্রে চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার বেইজিংও জ্বালানি তেলসহ বেশ কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছে।
চীনের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় জানানো হয়েছে, নতুন শুল্কের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা নির্দিষ্ট ধরনের কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক এবং অপরিশোধিত তেল, কৃষিযন্ত্র, বড় ইঞ্জিনের গাড়ি ও পিকআপ ট্রাকে ১০ শতাংশ শুল্ক বসবে।
মার্কিন পণ্যের ওপর এসব শুল্ক ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
এছাড়া চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের তালিকায় টাংস্টেন-সংক্রান্ত উপকরণ ও টেলুরিয়ামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উপকরণ যুক্ত করেছে। এসব পণ্য শিল্প ও প্রতিরক্ষা খাতে ব্যবহৃত হয় এবং সৌরকোষ তৈরিতে কাজে লাগে।
চীনের মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, মার্কিন বায়োটেক প্রতিষ্ঠান ইলুমিনা এবং ফ্যাশন রিটেইলার পিভিএইচ গ্রুপকে—যারা ক্যালভিন ক্লেইন ও টমি হিলফিগারের মালিক—তাদের অনির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কারণ এই কোম্পানিগুলো 'স্বাভাবিক বাজার নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে'।
এদিকে, চীনের রাষ্ট্রীয় বাজার নিয়ন্ত্রণ প্রশাসন পৃথক এক বিবৃতিতে গুগলের বিরুদ্ধে অ্যান্টি-মনোপলি আইনের লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। যদিও গুগলের ব্রাউজার চীনে নিষিদ্ধ এবং দেশটিতে কোম্পানিটির কার্যক্রম খুবই সীমিত।
শনিবার হোয়াইট হাউস ঘোষিত চীনা আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার পরপরই বেইজিংয়ের তরফ থেকে এই পাল্টা শুল্কারোপের ঘোষণা এল।
রোববার এক বিবৃতিতে বেইজিং এ শুল্কের কঠোর নিন্দা জানিয়ে বলেছিল, তারা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করবে এবং 'যথাযথ পাল্টা ব্যবস্থা' নেবে।
মঙ্গলবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই শুল্ক ব্যবস্থা ডব্লিউটিওর বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় নিয়ে গেছে তারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, বাণিজ্য ঘাটতি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল প্রবাহের কারণে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এর আগে কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর প্রস্তাবিত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত এক মাসের জন্য স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মঙ্গলবার থেকে এ শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
৩০ দিনের এই বিরতি ট্রাম্পের সঙ্গে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউমের একাধিক আলোচনার পর ঘোষণা করা হয়। কানাডা ও মেক্সিকো সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়াতে ও মাদক চোরাচালান দমনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এর অংশ হিসেবে কানাডা একজন 'ফেন্টানিল জার' নিয়োগ দেবে, আর মেক্সিকো সীমান্তে ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করবে।