শর্তসাপেক্ষে গ্লোব বায়োটেকের কোভিড-১৯ টিকার ট্রায়ালের অনুমোদন
শর্তসাপেক্ষে মানুষের শরীরে পরীক্ষার (হিউম্যান ট্রায়াল) জন্য গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের কোভিড-১৯ টিকা 'বঙ্গভ্যাক্স' কে নীতিগত অনুমোদন দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) দ্য ন্যাশনাল রিসার্চ এথিকস কমিটি।
বুধবার (১৬ জুন) বিএমআরসি'র এক ভার্চ্যুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভা শেষে বিএমআরসির পরিচালক অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন জানান, "চীন ও ভারত থেকে আরও দুটি টিকা ট্রায়ালের অনুমোদনের জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে"।
আগামী রবিবার প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক চিঠির মাধ্যমে এ বিষয়ে অবহিত করা হবে।
এদিকে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. শাহলা খাতুন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্লোব বায়োটেককে আগে কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে যেমন, হিউমান ট্রায়ালের আগে শিম্পাঞ্জি ও বানরের ওপর এই টিকাগুলোর কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সকল বিবরণ সম্পর্কে বিএমআরসিকে অবগত করতে হবে।
দেশীয় বায়োটেক প্রতিষ্ঠান, গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড গত ১৬ জানুয়ারি বিএমআরসি'র কাছে তাদের উৎপাদিত কোভিড-১৯ টিকা বঙ্গভ্যাক্সের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য প্রোটোকল জমা দেয়।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি বঙ্গভ্যাক্স টিকা উৎপাদনে ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি পায় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর।
২০২০ সালের ৫ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেক দাবি করে, খরগোশ এবং ইঁদুরের উপর এ টিকার পরীক্ষামূলক ফলাফল 'অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক' এসেছে।
একই মাসে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআর,বি) ঘোষণা দেয়, তারা গ্লোব বায়োটেকের সাথে টিকার প্রথম পর্যায়ের (ফেজ-১) পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
তবে আইসিডিডিআর,বি ট্রায়াল পরিচালনায় যথেষ্ট আগ্রহ দেখায়নি- এই অভিযোগে গ্লোব বায়োটেক, ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর আইসিডিডিআর,বি এর সাথে চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেয়।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ছয়টি কোভিড-১৯ টিকার জরুরী ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। এগুলো হলোঃ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম (চীন), স্পুটনিক-ভি (রাশিয়া), ফাইজার-বায়োএনটেক (যুক্তরাষ্ট্র/জার্মানি), করোনাভ্যাক (চীন) এবং জনসন এন্ড জনসনের টিকা।