গুচির ব্যাগ থেকে হীরার দুল, জ্যাকলিনের ৭ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত
বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে আর্থিক তছরুপের মামলায় ইডি অভিনেত্রীর ৭ কোটি রূপিরও বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। সম্প্রতি, পাঁচ বছরের পুরনো একটা জালিয়াতির মামলায় সুকেশকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। তার আগে, ২১৫ কোটির মামলায় সুকেশ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ইডি জ্যাকলিনের ৭.২৭ কোটি রূপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। যার মধ্যে ৭.১২ কোটি রূপি হলো এফডি। ইডির অনুমান, সুকেশ প্রতারণার টাকা থেকে জ্যাকলিনকে ৫.৭১ কোটি রূপি দিয়েছিলেন। খবর অনুসারে জ্যাকলিনকে প্রায় ১ লাখ ৭৩ হাজার মার্কিন ডলার ও ২৭ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার দিয়েছিল এই ঠগবাজ।
এর আগেও জ্যাকলিনকে একাধিকবার জেরা করেছে ইডি। তিনিই ইডিকে জানিয়েছেন ২০১৭ সাল থেকে তিনি চেনেন সুকেশকে। শুধু তাই নয় এই ঠগবাজ তাকে বলেছিলেন যে তিনি রাজনীতিবিদ জয়ললিতার পরিবারের সদস্য। শুধু তাই নয়, ২০২০ সালে তিনি নিজেকে সান টিভির মালিক বলেও পরিচয় দিয়েছিলেন।
চার্টাড প্লেনে চেপে জ্যাকলিন সুকেশের সাথে দেখা করতে যেতেন বলেও খবর। অভিনেত্রীর সফরের জন্য হেলিকপ্টারও বুক করে দিত সে। পরবর্তীতে জ্যাকলিন আর সুকেশের কিছু অন্তরঙ্গ ছবিও ভাইরাল হয়েছে।
সুকেশ চন্দ্রশেখর অভিনেত্রীকে আর কী কী উপহার দিয়েছিল? জ্যাকলিন বলেছেন, "আমাকে বেশ কয়েকটি লিমিটেড এডিশন পারফিউম দিয়েছিল সুকেশ। মাঝেমধ্যেই ফুল এবং চকোলেট পাঠিয়ে দিত। গুচি আর শ্যানেলের তিনটে ব্যাগ দিয়েছিল আমাকে।"
তার সংযোজন, "এছাড়া গুচির দু'টো জিমওয়্যার, লুই ভিটনের একজোড়া জুতা, দু'জোড়া হীরার দুল, একটি মাল্টিকালার স্টোনের ব্রেসলেট এবং দু'টো হারমেস ব্রেসলেট দিয়েছিল সুকেশ।"
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তাকে একটি মিনি কুপার গাড়িও উপহার হিসেবে দিয়েছিল সুকেশ চন্দ্রশেখর। কিন্তু, পরে সেটি ফেরত নিয়ে নেয় সে। কিন্তু, কেন? সে প্রসঙ্গে নায়িকার জবাব, "আমি ওকে বলেছিলাম গাড়ি নিতে চাই না। ওই উপহার ফিরিয়ে নিতে। কিন্তু, ও রাজি হয়নি। অগত্যা ওর এক বন্ধুর বাড়ির পার্কিং লটে গাড়িটা রেখে এসেছিলাম। পরে সিকিউরিটি গার্ডের কাছ থেকে ছবি পেয়েছিল ও এবং ওই গাড়িটি সেখান থেকে সরানো হয়েছিল।"
এদিকে এক অফিসিয়াল বিবৃতিতে সুকেশ জানিয়েছিলেন, "আমি এর আগেই জানিয়েছি আমার আর জ্যাকলিনের মধ্যে একটা সম্পর্ক ছিল। তবে যেভাবে দেখানো হচ্ছে সব জায়গায় যে আর্থিক চাহিদার জন্য এই সম্পর্ক তা ঠিক নয়। খারাপ আলোয় দেখানো হচ্ছে এই সম্পর্ক। আমাদের সম্পর্কে অনেক ভালোবাসা ছিল, সম্মান ছিল কোনও প্রত্যাশা ছাড়াই।"
- সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস, এই সময়