মামলায় হেরে বিচারকদের নয়, সোশ্যাল মিডিয়াকে দুষলেন অ্যাম্বার হার্ড
মানহানি মামলায় সাবেক স্বামী জনি ডেপের কাছে হেরে যাওয়ার পর বিচারকদের দোষ দিচ্ছেন না অ্যাম্বার হার্ড। তার চেয়ে বরং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডেপের প্রতি পক্ষপাতীত্বকে দুষলেন এই হলিউড অভিনেত্রী।
সোমবার সংবাদমাধ্যম এনবিসি অ্যাম্বার হার্ডের একটি সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করে। 'টুডে' কো-হোস্ট সাভানাহ গুথরিকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে 'অ্যাকুয়াম্যান' অভিনেত্রী বলেন, "আমি জুরিদের দোষ দিচ্ছি না। আমি আসলে বুঝতে পেরেছি। তিনি (ডেপ) সবার প্রিয়পাত্র এবং মানুষ অনুভব করে যেন তাকে চেনে। তিনি একজন দুর্দান্ত অভিনেতা।"
মঙ্গলবার ও বুধবারেও এই সাক্ষাৎকারের আরো অংশ সম্প্রচারের কথা ছিল 'টুডে'র। আলোচিত মানহানি মামলার প্রায় দুই সপ্তাহ পর হার্ডের এই সাক্ষাৎকার প্রচারিত হচ্ছে।
সাক্ষাৎকারে অ্যাম্বার হার্ডকে বেশ কড়াভাবেই প্রশ্ন করেছেন কো-হোস্ট গুথরি। তিনি অভিনেত্রীকে বলেন, "এটা এর চেয়ে ভদ্রভাবে বলার কোনো উপায় নেই। জুরিরা আপনার উপস্থাপন করা প্রমাণগুলোই দেখেছে। তারা আপনার সাক্ষ্য শুনেছে এবং তারা আপনাকে বিশ্বাস করেনি। তারা ভেবেছিল আপনি মিথ্যা বলছেন।"
এর জবাবে অ্যাম্বার হার্ড বলেন, "তারা এই রায় না দিয়েই বা পারে কিভাবে? তারা নিজেদের আসনে বসে তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে স্রেফ ভাড়াটে লোকেদের সাক্ষ্য শুনেছে।"
ছয় সপ্তাহ শুনানি চলেছিল মানহানির মামলার। সেই সময়ে যাবতীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমজুড়ে জনি ডেপের সমর্থনেই ছিল সিংহভাগ পোস্ট। এই বিষয়টিকে 'অন্যায়' বলছেন অ্যাম্বার হার্ড। তবে বিষয়টিকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছেন না অভিনেত্রী।
গুথরিকে হার্ড বলেন, "বন্ধ দরজার ভেতরে আমাদের সংসারে, আমার নিজের বাড়িতে যা হয়েছিল তা নিয়ে অন্য কেউ কী ভাবল, কী রায় দিলো তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। আমি মনে করি না, গড়পরতা লোকের সবকিছু জানা উচিত, তাই আমি এটা নিয়ে চিন্তা করছি না। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা হয়েছে তা কখনোই দুই পক্ষের সমানে সমানে হয়নি, একদিকে (ডেপের পক্ষে) সমর্থন ছিল অনেক বেশি।"
এদিকে মামলা নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকার দেননি জনি ডেপ। কিন্তু অভিনেতার ভাষ্যে, 'এই রায় আমার প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছে।'
সূত্র: এপি