বড় লিড নিয়ে থামলো উইন্ডিজ, মিরাজের ৪ উইকেট
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস অল্পতেই গুটিয়ে যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসারদের তোপে ১০৩ রানেই থামে সাকিব আল হাসানের দল। জবাবে ক্যারিবীয়রাও প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি। তবে তাদের স্কোরকার্ডে যে রান জমা হয়েছে, তাতেই বড় লিড মিলে গেছে স্বাগতিকদের।
দ্বিতীয় দিন মেহেদী হাসান মিরাজের স্পিন ঘূর্ণিতে দিক হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস শেষে হয়েছে ২৬৫ রানে। প্রথম ইনিংসেই ১৬২ রানের লিড পেয়ে গেছে ক্রেইগ ব্রাথওয়েটের দল। সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। ২টি করে উইকেট নেন এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ। মুস্তাফিজুর রহমান ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের শিকার একটি করে উইকেট।
ক্যারিবীয়দের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৪ রানের ইনিংস খেলেন ব্রাথওয়েট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড। এ ছাড়া জন ক্যাম্পবেল ২৪, রেমন রেইফার ১১, এনক্রুমাহ বনার ৩৩ ও শেষের দিকে গুডাকেশ মটি অপরাজিত ২৩ রান করেন।
২ উইকেট ৯৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিনও অনেকটা পথ পাড়ি দেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ব্রাথওয়েট ও এনক্রুমা বনার। দলীয় ১৩৪ রানে গিয়ে এই জুটি ভাঙেন সাকিব। বাংলাদেশ অধিনায়কের দারুণ এক ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে ইনসাইড এজে বোল্ড হন ৩৩ রান করা বনার।
ব্ল্যাকউডের সঙ্গে জুটি বেধে এগিয়ে যেতে থাকেন ব্রাথওয়েট। দলীয় ১৯৭ রানে ভাঙে এই জুটি। খালেদের লেংন্থ ডেলিভারি পিছিয়ে গিয়ে খেলার চেষ্টা করেন ব্রাথওয়েট। কিন্তু পুরোপুরি লাইন মিস করেন উইন্ডিজ অধিনায়ক। দুই দিন মিলিয়ে তিনবার জীবন পাওয়া ব্রাথওয়েটকে রাজ্যের হতাশা নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়। ব্রাথওয়েটের পর ব্ল্যাকউড ও মটির ব্যাটে লড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ক্যারিবীয়দের আরও আগেই অলআউট করতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু সফরকারীরা প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনও অনেক ভুল করায় তা হয়নি। বনার ১৪ রানে ব্যাটিং করার সময় এবাদত হোসেনের বলে পেছনে ক্যাচ দেন। কিন্তু ব্যাটে সামান্য ছুঁয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের কেউ বুঝতেই পারেননি।
খালেদের বলেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন বনার। কিন্তু এবারও ক্যাচটি নিতে পারেনি বাংলাদেশ। উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান কিংবা প্রথম স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত কেউই ক্যাচটি ধরার চেষ্টা করেননি। উল্টো চার হয়ে যায়। পরে আরও ১০ রান যোগ করেন বনার।