কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় ঢাবি সাংবাদিক সমিতির উদ্বেগ
ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্ট ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।
এই ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সুষ্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটির সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল কবির।
রোববার (৪ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি জানান তারা।
ঢাবি সাংবাদিক সমিতি'র নেতৃবৃন্দ বলেন, "বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় একজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও মেধাতালিকায় ১২তম স্থান করে নেয়। ঘটনাটি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি এই ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। কিন্তু কর্তব্যে অবহেলাকারীদের কোন ধরনের ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো উচ্চতর কমিটি গঠন করা হয় গণ্যমাধ্যমে কে তথ্যটি প্রদান করল সেটি বের করতে। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও বর্তমান কোষাধ্যক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, তদন্ত কাজ করতে কল রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়েছে। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনী ছাড়া অন্য কেউ এটি করতে পারেন না।"
তারা বলেন, "এ ঘটনায় ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহবুবুল হক ভূঁইয়াকে তথ্য সরবরাহকারী হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে। সাংবাদিক সমিতি মনে করে, গণমাধ্যমে তথ্য সরবরাহ করা কোনো অপরাধ নয়। বরং গণমাধ্যমে কে তথ্য দিয়েছে, তা জানতে চাওয়া অনৈতিক।"