ডিপ ইকোলজি-আইএসিআইবি-র সিম্পোজিয়ামে সম্মাননা পেলেন তিন স্নেক কনজারভেশন অ্যাকটিভিস্ট
ঢাকার সাভারের কলমায় অবস্থিত ফাইলেরিয়া অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল মিলনায়তনে মার্কিন এনজিও হিউম্যানিটি বেয়ন্ড ব্যারিয়ারস (এইচবিবি)-এর অর্থায়নে পরিচালিত, ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন ও ইন্সটিটিউট অভ অ্যালার্জি এন্ড ক্লিনিক্যাল ইমিউনলজি অভ বাংলাদেশের (আইএসিআইবি) যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত প্রজেক্ট 'সর্পদংশন ব্যবস্থাপনা: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত'-এর আওতায় আয়োজিত সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ শনিবার।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত হোসেন, আইএসিআইবির চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, জাতীয় সর্পদংশন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণয়ন কমিটির সদস্য ডা. বিএম রাইসুল সাইফ, স্নেক কনজারভেশন অ্যাকটিভিস্ট ইফতিকার মাহামুদ, ডিইএসসিএফের সভাপতি মাহফুজুর রহমান ও প্রকল্প পরিচালক সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শওকত ডিপ ইকোলজি দর্শনের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকৃতির সাথে মানুষের সহাবস্থানের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন।
সিম্পোজিয়ামে ডা. বিএম রাইসুল সাইফ বলেন, 'সাপের কামড়ে মৃত্যুহার বাড়ে মানুষের অসচেতনতার কারণে। তাই হাসপাতালমুখী হওয়াটা জরুরি, সাপ মেরে মৃত্যুহার কমানো যাবে না, বরং তা মানুষেরই ক্ষতি বয়ে আনবে।'
ড. মোয়াজ্জেম তার আলোচনায় আইএসিআইবির কার্যক্রম তুলে ধরেন, একইসাথে ডিইএসসিএফ সভাপতি মাহফুজ সব সেক্টরের মানুষকে প্রকৃতি সংরক্ষণে একসঙ্গে কাজ করতে আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ১৫০ জন তরুণ। অনুষ্ঠানে স্ব স্ব ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয় বন্যপ্রাণী পরিবেশবিদ আশিকুর রহমান সমী, বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী অরিত্র সাত্তার ও ঝিনাইদহ জেলার প্রান্তিক সর্পদংশন সচেতনতাকর্মী আবদুল্লাহ মারুফকে।