মা ও শিশুর পুষ্টির উন্নতিতে কাজ করা ‘সঙ্গ’ প্রকল্পের সমাপ্তি; সুবিধাভোগী ১.১২ লাখ পরিবার
শেষ হলো সুবিধাবঞ্চিত এলাকার মানুষদের পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিতে পাঁচবছর মেয়াদি প্রকল্প সাসটেইনড অপারচুনিটিস ফর নিউট্রিশন গভর্নেন্স (সঙ্গ)।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে বাস্তবায়িত এ প্রকল্পের অধীনে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় মা ও শিশুর পুষ্টির উন্নতির জন্য কাজ করা হয়েছে।
সঙ্গ প্রকল্পের আওতায় এক লাখ ১২ হাজার পরিবারকে সহায়তা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৯৫ হাজার প্রজনন-বয়সি নারী, ৯০ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও এক লাখ ৩৮ হাজার শিশু-কিশোর রয়েছেন।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা কর্ডএইড সম্প্রতি সঙ্গ-এর সমাপনী অনুষ্ঠান 'লার্নিং অ্যান্ড ক্লোজিং ইভেন্ট'-এর আয়োজন করেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে কর্ডএইড এবং আরডিআরএস বাংলাদেশের মাধ্যমে।
রাজধানীর লেকশোর গ্র্যান্ড হোটেলে আয়োজিত এই সমাপনী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন কর্ডএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডাউই ডাইক্সট্রা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ও খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিট (এফপিএমইউ)-এর মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলম।
সঙ্গ প্রকল্পটি মূলত চারটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। এগুলো হলো: স্থানীয় পুষ্টি সুশাসন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া শক্তিশালীকরণ; মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি অভ্যাসসমূহ উন্নয়ন; পরিবারসমূহে পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যাভ্যাসসমূহ উন্নতকরণ; এবং পরিবারসমূহে পুষ্টিকর খাবারের প্রবেশাধিকার বা সহজপ্রাপ্তি বাড়ানো।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করেছে এ প্রকল্প। এছাড়া স্বাস্থ্যের সু-অভ্যাস গড়ে তোলা, মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা, পুষ্টি নিশ্চিতসহ মানুষদের প্রশিক্ষিত করা হয়েছে প্রকল্পের মাধ্যমে। কিশোরীর মাসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নলকূপ বসানো, টয়লেট স্থাপনে সহায়তাও নিশ্চিত করা হয়েছে প্রকল্পের আওতায়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা প্রত্যাশা করেন, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও সচেতনতা সৃষ্টির যে কাজ শুরু হয়েছে, তা প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের মাধ্যমে চলমান থাকবে।