ডাকে পাঠানো চিঠি ১০০ বছর পর এসে পৌঁছালো
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের এক নারী সম্প্রতি তার ডাকবাক্সে ১০০ বছর আগে পাঠানো একটি পোস্টকার্ড খুঁজে পেয়েছেন।
ব্রিটানি কিচ সিএনএন-কে জানান, তিনি নিজের সন্তান ও বাড়ির কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় পোস্টকার্ডটি প্রথমে গুরূত্ব সহকারে খেয়াল করেননি।
"আমার কাছে ব্যাপারটি খুবই অদ্ভুত লাগে, কারণ বর্তমান যুগে কেউ পোস্টকার্ড পাঠায় না। তখনই মনে হলো, ব্যাপারটি আলাদা।"
তারপর-ই তিনি খেয়াল করেন, পোস্টকার্ডটি পাঠানোর তারিখ ১৯২০ সালের ২৯ অক্টোবর। তার বর্তমান ঠিকানায় রয় ম্যাককুইন নামের এক ব্যক্তির কাছে পাঠানো হয়েছিল পোস্টকার্ডটি। ফ্লোসি বার্জেস নামের এক ব্যক্তি পাঠিয়েছিল এটি।
কার্ডটি মূলত একটি হ্যালোইন পোস্টকার্ড। একটি কালো বিড়ালের হাতে ঝাড়ু, একটি হাঁস ও প্যাঁচা, ছড়ি হাতে একজন বৃদ্ধা, টুপি পরিহিত জ্যাক-ও-লন্ঠন এমনই ছবি আঁকা আছে পোস্টকার্ডটিতে।
পোস্টকার্ডটির পেছনে জর্জ ওয়াশিংটনের এক সেন্টের ছাপ আছে, অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া পোস্টমার্কটি জেমসটাউনের।
৩০ বছর বয়সী কিচ জানান, তার জন্মেরও বহু বছর পূর্বে পাঠানো কার্ডটি এখন এসে পৌঁছানোর কারণ সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই।
পোস্টাল সার্ভিসের একজন মুখপাত্র জানান, "এধরনের ঘটনায় পুরানো চিঠি বা পোস্টকার্ড ডাকবিভাগে আসার পর হারিয়ে যাওয়া ও পুনরুদ্ধারের ঘটনা কমই ঘটে। সাধারণত মানুষ ফ্লে মার্কেট, অ্যান্টিকের দোকান বা অনলাইন থেকেই এধরনের পুরনো জিনিস কিনে পুনরায় ডাকবিভাগে পাঠান। ঠিকানা দেয়া থাকলেই আমরা কার্ড বা চিঠিগুলো সেই ঠিকানায় পাঠিয়ে দেই।"
ম্যাককুইন বা বার্জিসের কোনো পরিবারের সদস্য বা দুটি পরিবারের সদস্যদের চেনেন এমন কাউকে খুঁজে পেতে কিচ পোস্টকার্ডটির ছবি একটি ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করেছেন। "এই পরিবারের বংশধরদের খুঁজে পেতে দুজন অসাধারণ নারী আমাকে সাহায্য করছেন।"
এই রহস্যের সমাধান করতে অনেকেই অনেক পুরনো দলিলের ছবি দিচ্ছেন পোস্টটির মন্তব্যের ঘরে।
কিচ পোস্টকার্ডটি ওই পরিবারের কোনো সদস্যের কাছেই ফিরিয়ে দিতে চান এবং সম্ভাব্য একজন আত্মীয়ের খোঁজ পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।