পৃথিবীর খুব কাছে এগিয়ে আসছে এ বছরের সবচেয়ে বড় গ্রহাণু
পৃথিবীর দিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে আসছে এ বছরের সবচেয়ে বড় গ্রহাণু। রোববার এটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছ ঘেঁষে পার হয়ে যাবে।
তবে এতে ভীত হবার কোনো কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ, এই গ্রহাণু পৃথিবীর কোনো ক্ষতি করবে না।
বিশাল বড় পাথরসদৃশ এই স্পেস রক'কে বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন '২০০১ এফও৩২'। এর মধ্যে রয়েছে কয়েক শত মিটারের একটি ডায়ামিটার এবং এটি দুই মিলিয়ন কিলোমিটার (১ দশমিক ২ মিলিয়ন মাইল) দূরত্বে থেকে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মহাকাশ এজেন্সি নাসা।
এই দূরত্ব পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের চেয়েও পাঁচ গুণ বেশি।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির গ্রহাণু বিশেষজ্ঞ ডেটলেফ কশনি ডিপিএ নিউজ এজেন্সিকে বলেন, 'এটি স্থিতিশীল রয়েছে, তবে কোনো ঝুঁকিপূ্র্ণ অবস্থায় নেই।'
তিনি আরও জানান, যথাযথ যন্ত্রপাতির মাধ্যমে এই অপার্থিব সৌন্দর্য্যময় বস্তুটি অপেশাদার জ্যোতির্বিদদের দেখার সুযোগ করে দেওয়া হবে।
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরি নিয়ন্ত্রিত সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজের ডিরেক্টর পল কোডাস বলেন, "'২০০১ এফও৩২' ২০ বছর আগে আবিষ্কৃত হয়েছে এবং এরপর থেকে নিয়মিত এর পথ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে আমরা এটির সঠিক কক্ষপথ জানি।"
প্রতি ৮১০ দিনে একবার করে সূর্যের কক্ষপথে ঘোরা এই সুনির্দিষ্ট গ্রহাণু ১ লাখ ২৪ হাজার কেপিএইচ (৭৭ হাজার এমপিএইচ) গতিতে পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাবে।
রোববার পৃথিবীর পাশ দিয়ে পার হবার পরেও '২০০১ এফও৩২' তার নিঃসঙ্গ গ্রহচারী যাত্রা অব্যহত রাখবে। এরপর ২০৫২ সালের আগ পর্যন্ত এই গ্রহাণুকে পৃথিবীর আশেপাশে দেখা যাবে না বলে জানিয়েছে নাসা।
গ্রহাণুটিকে আরও কাছ থেকে পর্যবেক্ষণের জন্যে বিজ্ঞানীরা ফ্লাইবাই ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছেন।
কশনি জানান, তারা এই গ্রহাণু সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেন না। তাই একে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করলে গ্রহাণু-বিনিময় প্রজেক্টে কাজ করা জ্যোতির্বিদদের উপকার হতে পারে।
- সূত্র: আল-জাজিরা