১১২ বছর বয়সে ব্রিটেনের প্রবীণতম ব্যক্তির মৃত্যু
১৯০৮ সালের ২৯ মার্চ, একইদিনে ব্রিটেনে জন্ম নেওয়া দুই শিশু যে কালের পরিক্রমায় সবচেয়ে বয়স্ক নারী ও পুরুষে পরিণত হবেন, কে জানত! ১১২ বছর তারা পৃথিবীর আলো-হাওয়ায় বেঁচে ছিলেন। গত মে মাসে, পৃথিবীর প্রবীণতম পুরুষ হিসেবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বব উইটন। পাঁচ মাসের ব্যবধানে, ব্রিটেনের প্রবীণতম ব্যক্তি হিসেবে পৃথিবীকে চিরবিদায় নিলেন জোয়ান হককার্ডও।
শনিবার ইংল্যান্ডের ডরসেট কাউন্টিতে এই নারী মৃত্যুবরণ করেছেন বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন তার ভাইপো পল রেলল্ডস।
পল বলেন, তার ফুফু বিশ্বাস করতেন, দীর্ঘ জীবন পাওয়ার আদৌ কোনো রহস্য নেই। 'তিনি মন ভরে বাটার-ক্রিম খেতেন এবং ডায়েটিং নিয়ে করতেন হাসাহাসি।'
হককার্ডের জীবনের শুরুর দিনগুলো কেটেছে কেনিয়ায়। সেখানে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতেন তার বাবা।
এরপর সাসেক্সে এক আবাসিক স্কুলে ভর্তি হন এ নারী। পরে জেনেভার একটি হোটেলে রাঁধুনী হিসেবে কাজ করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে তিনি লন্ডনে অ্যাম্বুলেন্স চালাতেন। এরপর পাড়ি জমান সাউথ কোস্টে। সেখানে গিয়ে একজন প্রখর নাবিক হয়ে ওঠেন।
বিয়ের পর স্বামী গিলবারট হককার্ডের সঙ্গে জলে-স্থলে ঘুরে বেড়াতে খুব ভালোবাসতেন তিনি। ১৯৮১ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর ডরসেটের পুল শহরের লিলিপুট অঞ্চলে চলে আসেন।
'বরাবরই স্বাধীনচেতা মানুষ ছিলেন তিনি। নিজের শততম জন্মদিনে রানির কাছ থেকে শুভেচ্ছা কার্ড গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। কেননা, তার বয়স কত হলো, লোকজনকে সেটি জানাতে চাননি,' গত আগস্টে স্থানীয় এক গণমাধ্যমে বলেন রেনল্ডস।
গত মার্চে উইটন ও হককার্ড একসঙ্গে নিজেদের ১১২তম জন্মদিন পালন করেছেন। পরিবারের পক্ষে সেই অনুষ্ঠান ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছিল। কে জানত, সেটিই হবে তাদের শেষ জন্মদিন!
- সূত্র: বিবিসি