যে ৩ ভুল ছিল বিল গেটসের সিভিতে
মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ ধনী বিল গেটস নিজের ৫০ বছর আগেকার জীবনবৃত্তান্ত প্রকাশ করেছেন।
এক লিংকডইন পোস্টে তিনি লিখেছেন, "আপনি সম্প্রতি গ্র্যাজুয়েট হোন কিংবা কলেজ ড্রপ-আউট, আমি নিশ্চিত,আমার ৪৮ বছর আগেকার চেয়ে আপনার জীবনবৃত্তান্তই অনেক বেশি ভালো"।
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কাজের অভিজ্ঞতা লেখার আগেই গেটস তার উদ্দেশ্য নিয়ে লিখেছেন। তা হলো সিস্টেম প্রোগ্রামার হওয়া। তার হার্ভার্ডের কোর্স, দুটো চাকরি থেকে পাওয়া কোডিংয়ে দক্ষতা, এসব বিভিন্ন বিষয় সাথে জুড়ে দিয়েছেন।
বিল গেটসের জীবনবৃত্তান্তে কিছু বিষয় আছে, বর্তমানে যেগুলো দিতে না করেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রথম ভুল: বেশি গভীরে যাওয়া যাবে না
১৮ বছর বয়সে টাইপরাইটারে যে জীবনবৃত্তান্ত গেটস লিখেছিলেন, এতে তার তখনকার ঠিকানাসহ অনেক ব্যক্তিগত তথ্যও ছিল। তার উচ্চতা আর ওজনও লিখেছিলেন তিনি।
এ ধরনের তথ্য ব্যবহার না করাটাই ভাল। বর্তমান সময়ে এ ধরনের তথ্য ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করেন বিশেষজ্ঞরা।
দ্বিতীয় ভুল: 'ভার্ব' ব্যবহারে ভিন্নতা
ক্যারিয়ার কোচিং সার্ভিস নেক্সট গ্রেট স্টেপের প্রতিষ্ঠাতা হেন্ডলার-গ্রান্ট নিজের জীবনবৃত্তান্তে 'অ্যাকশন ভার্ব' ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তির অর্জন তুলে ধরার ওপর জোর দেন।
প্রতি বাক্যের শুরুতে 'রেসপনসিবল ফর'- ব্যবহার না করে 'বিল্ট', 'ক্রিয়েটেড'- অর্থাৎ অ্যাকশন ভার্ব ব্যবহারের ওপর জোর দেন তিনি।
নিজের তৈরি ট্রাফিক সিস্টেমের বর্ণনা দিতে একবার 'ডিজাইনড' শব্দটি ব্যবহার ক্রএছিলেন গেটস। এছাড়া আর কোনো অ্যাকশন ভার্ব ব্যবহার করেননি তিনি। একই ভার্ব বারংবার ব্যবহার করেছিলেন তিনি। .
তৃতীয় ভুল: অপ্রয়োজনীয় উপস্থাপন
বিল গেটসের জীবনবৃত্তান্তের বাম দিকের কোণায় ছিল বিজনেস কার্ড।
পাঠকের এই কোণা প্রথমেই চোখে পড়বে। পাঠকের চোখ বেশি যাবে এমন স্থানে শিক্ষাগত যোগ্যতা, অর্জন এ ধরনের তথ্য দেওয়াই বরং ভালো। কোনো কোম্পানির বিজ্ঞাপন মনে হবে দেখতে এমন কিছু না দেওয়াই ভাল।
বিল গেটসের সিভিতে এই ভুলগুলো থাকলেও, তিনি জানতেন তিনি কী করছেন। এই জীবনবৃত্তান্ত প্রথম পাঠানোর ১২ বছর পর তিনি বিলিয়নিয়ার হন। এর ছয় বছর পর হন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি।