৩৫ বছরে ব্যাঙ ও সাপের পেটে গেছে ১,৬০০ কোটি ডলার!
ব্যাঙ ও সাপের কারণে ৩৫ বছরে কয়েকশ কোটি টাকার লোকসান গুনেছে বিশ্ব অর্থনীতি। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে আমেরিকান বুলফ্রগ ব্যাঙ ও বাদামি গেছোসাপের আক্রমণে ১৯৮৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিশ্বে এক হাজার ৬০০ কোটি টাকার লোকসান হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সায়েন্টিফিক রিপোর্টসে প্রকাশিত গবেষণাটিতে দেখা যায় নির্দিষ্ট প্রজাতির ওই ব্যাঙ ও সাপের কারণে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যাহত হওয়াসহ নানা কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গবেষণার নথি অনুযায়ী, লিথোবেটস ক্যাটসবিয়ানস নামে পরিচিত বাদামি-সবুজ ব্যাঙটির ওজন ২ পাউন্ডের (০.৯ কিলো) কিছু বেশি। ইউরোপে তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে।
অন্যদিকে বাদামি গেছোসাপ বা বয়গা ইরেগোলারিস নামের সাপটি প্রশান্তমহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ গুয়াম এবং ম্যারিয়ানা আইল্যান্ডে দ্রুত বিস্তার লাভ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে প্রজাতিটি এখানে আসে। সাপগুলো একসময় এতবেশি পরিমাণে ছড়িয়ে পড়ে যে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে হরহামেশাই সংযোগ বিচ্ছিন্নের কারণ হতে শুরু করে।
চেক রিপাবলিকের ইউনিভার্সিটি অব সাউথ বোহেমিয়ার পিএইচডি শিক্ষার্থী ও গবেষণাটির প্রধান গবেষক ইসমাইল সোটো গবেষণা প্রসঙ্গে বলেন, আক্রমণাত্মক বিভিন্ন প্রজাতিকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি প্রশমণ করাই এই গবেষণার প্রতিপাদ্য।
'বর্তমানে এই ধারার প্রজাতিগুলো মানুষ পোষ মানানোর জন্য কেনাবেচা করে। এক্সটিক সাপের প্রজাতি হিসেবে এদের নিয়ে বড় বাণিজ্য রয়েছে। আমাদের প্রস্তাব হলো কোন ধরনের প্রজাতির প্রাণীর বাণিজ্য নিষিদ্ধ থাকবে সেই তালিকা হালনাগাদ করা,' বলেন তিনি।
আক্রমণাত্মক এই প্রজাতিগুলোর কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির হিসাব বিভিন্ন পিয়ার-রিভিউড গবেষণা পত্র ও প্রকাশনা থেকে সংগ্রহ করে সম্মিলিতভাবে হিসাব করা হয়েছে। হিসাবটি পর্যবেক্ষণমূলক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নয়, বরং বিভিন্ন অনুমান ও পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে দাঁড় করানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
- সূত্র: দ্য হিন্দু