শীতে পানি ছাড়াও যে ৩ পানীয় শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখবে
শারীরিক সুস্বাস্থ্যের জন্য দেহে পরিমিত পরিমাণে পানির প্রয়োজন হয়। কিন্তু শীতকালে স্বভাবতই একজন ব্যক্তির পানি পানের পরিমাণ অনেকটা কমে যায়। কেননা বছরের বাকি সময়ের তুলনায় এ মৌসুমে মানুষের তৃষ্ণা কম পায়। আর এ কারণেই শীতকালে শরীরে পানির অভাব ঘটে।
কিন্তু শীতকালে উল্টো বেশি করে পানি পান করা প্রয়োজন। কারণ শীতের সময় দেহে তরল পদার্থের পরিমাণ কমে যাওয়াতে অনেকেই নানা সমস্যায় ভুগে থাকেন। এর মধ্যে ত্বক বেশি শুষ্ক হয়ে যাওয়া অন্যতম। সেই শুষ্কতা দূর করতে পানির পাশাপাশি আরও কয়েকটি পানীয় পান করা যেতে পারে।
ভেষজ চা
অবসরে, আড্ডায় চা পানের অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। আর শীতকালে ভেষজ চা পান শরীরের জন্য হতে পারে উপকারী। এ চা শরীরের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
তাই শীতকালে শরীর চাঙ্গা রাখতে মাঝেমাঝেই চুমুক দিতে পারেন ভেষজ চায়ে। আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি এই চা পেশির ব্যথা কমায়। একইসাথে অনিদ্রা দূর করে ও মানসিক প্রশান্তি আনে। এছাড়াও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতেও ভেষজ চা খুবই কার্যকরী।
হলুদ দুধ
দুধ একটি পুষ্টিকর পানীয়। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস হলুদ দুধ খাওয়ার অভ্যাস অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। হলুদ দুধ খেলে শরীর ভেতর থেকে উষ্ণ থাকে। ঘুমও ভাল হয়।
দুধের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ শরীরে প্রদাহ দূর করে। শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও হলুদ দুধ উপকারী। তবে কেবল হলুদ সরাসরি শরীরের আর্দ্রতা আনতে পারে না।
স্যুপ
শীতকালে মানুষ প্রায়ই সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়। একবার শুরু হলে আর যেন থামতেই চায় না। আবার সর্দি-কাশিতে ধরলে শরীরের আর্দ্রতাও কমতে থাকে। তাই শীতকালে সুস্থ থাকতে পুষ্টিবিদরা স্যুপ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে তৈরি স্যুপ সর্দি-কাশির সময়ে স্বস্তি দেয়। সহজলভ্য পালংশাক দিয়েও স্যুপ তৈরি করে নিতে পারেন। শীতকালে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে স্যুপের ওপর দিব্যি ভরসা করা যায়।