সমালোচনার পর ভালোবাসা দিবসে গরু আলিঙ্গনের আবেদন তুলে নিল ভারত সরকার
ভালোবাসা দিবসে গরুকে আলিঙ্গন করার আবেদন প্রত্যাহার করেছে ভারত সরকার। এর আগে হিন্দু মূল্যবোধ জাগ্রত করার জন্য এ দিনটিতে গরুকে জড়িয়ে ধরতে আবেদন জানায় ভারতের অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার বোর্ড। খবর স্কাই নিউজ-এর।
'গরু আলিঙ্গন দিবস' ঘোষণার পর রাজনৈতিক বিরোধী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তীব্র সমালোচনা ও ব্যঙ্গের স্বীকার হওয়ার পর শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এ আর্জি প্রত্যাহার করা হয়।
ভালোবাসা দিবসে পশ্চিমা রোমান্টিক কার্যক্রম অনুসরণ থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছিল অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার বোর্ড অব ইন্ডিয়া।
নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায় নামক একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক গরু আলিঙ্গনের এ আহ্বানকে 'সম্পূর্ণ পাগলাটে ও শঠ যুক্তি' বলে উল্লেখ করেছেন।
এর আগে গত বুধবার এক বিবৃতিতে ভারত সরকারের দপ্তরটি জানিয়েছিল, 'গরুকে আলিঙ্গন করলে আবেগীয় সমৃদ্ধি তৈরি হবে এবং ব্যক্তিক ও সামগ্রিক সুখ বৃদ্ধি পাবে।'
এটি জানায়, 'ভারতীয় সংস্কৃতির মেরুদণ্ড হলো গরু। আমাদের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে, জীবনধারণে ও গ্ৰামীণ অর্থনীতির বিকাশে গরুর ভূমিকা অপরিসীম। কামধেনু যেমন একদিকে মানুষকে ধনসম্পদে ধনী করে তোলে, গোমাতার প্রকৃতি হলো আমাদের লালনপালন করা।'
এ ঘোষণায় প্রাথমিকভাবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ভারতে। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করেন যেগুলোতে দেখা যায়, গরু মানুষের আলিঙ্গন প্রচেষ্টায় আগ্রহ দেখাচ্ছে না বরং তেড়ে আসছে।
অন্যরা দাবি করেন, এ দাবিটি মূলত পশ্চিমা সংস্কৃতি 'অন্ধভাবে' অনুসরণ না করে অনেকটা নিজের সংস্কৃতি অনুসরণ করার বিষয়।
তরুণ ভারতীয়রা সাধারণত ভালোবাসা দিবসে পার্ক ও রেস্তোরাঁয় ঘুরতে যান, উপহার আদান-প্রদান করেন, এবং পার্টিতে অংশগ্রহণ করেন।
গরু আলিঙ্গন নতুন কোনো বিষয় নয়। বিশ্বের অনেক অঞ্চলে এটিকে থেরাপেটিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নেদারল্যান্ডে গরুকে জড়িয়ে ধরা 'কো ক্নাফেলেন' নামে পরিচিত।