যমজ মেয়েদের জন্য জন্মদিনের কার্ড লিখে গেলেন মৃত্যুপথযাত্রী বাবা
সাউথ ইস্ট ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট সাসেক্সের এক ব্যক্তি তার মৃত্যুর আগে যমজ দুই মেয়ের প্রথম ৩০ বছরের জন্মদিনের জন্য জন্মদিনের কার্ড লিখে গিয়েছেন। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নিক নামের ঐ ব্যক্তি গুরুতর ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত ছিলেন এবং নিজের মৃত্যু ঘনিয়ে আসছে তা বুঝতে পেরেছিলেন।
ওয়েস্ট সাসেক্সের লিনডফিল্ডের বাসিন্দা নিক ২০২০ সালে ৩৪ বছর বয়সে মারা যান। সেসময় তার যমজ দুই মেয়ে রোজ় ও সোফিয়ার বয়স ছিল মাত্র ১৭ মাস।
প্রয়াত নিকের স্ত্রী ভিক্টোরিয়া বলেন, "নিক চেয়েছিল মেয়েরা যখনই তাদের জন্মদিন উদযাপন করবে, তখনই যেন তার কথা স্মরণ করে এবং এভাবেই সে তাদের পাশে থাকতে চেয়েছে।"
বর্তমানে ভিক্টোরিয়া ব্রেইন টিউমার বিষয়ক গবেষণার পরিমাণ বাড়াতে আরও বেশি তহবিল বরাদ্দের জন্য ক্যাম্পেইন চালাচ্ছেন।
নিক তার জীবনের শেষ ছয় মাস শুধু অবাচনিক যোগাযোগ করতে পারতেন। অর্থাৎ তখন তিনি কথা বলতে পারতেন না।
ভিক্টোরিয়া বলেন, "নিক ছিল সবার খুব প্রিয়, আর আমার খুব ঘনিষ্ঠজন। তার মনের জোর ছিল অনেক বেশি এবং রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপির দিনেও কাজে যেত। তার কাছ থেকে আমি অনুপ্রেরণা পেয়েছি।"
ভিক্টোরিয়া জানান, নিকের লিখে যাওয়া জন্মদিনের কার্ডগুলো তার মেয়েদের একটা ধারণা দিবে যে 'তাদের বাবা জীবনের ওই পর্যায়ে কেমন ছিলেন।" বর্তমানে ভিক্টোরিয়া ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একটি পিটিশনের সমর্থনে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, "শিশু এবং ৪০ বছরের নিচে ব্যক্তিদের জন্য ব্রেইন টিউমার ক্যান্সারে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি, তবুও ২০০২ সালে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে ক্যান্সার গবেষণায় জাতীয় ব্যয়ের মাত্র ১ শতাংশ এই খাতে বরাদ্দ হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক এবং এটা পরিবর্তন হওয়া উচিত।"
ব্রেইন টিউমার রিসার্চ-এর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার চার্লি অ্যালসব্রুক বলেন, "নিকের জীবনের এই মর্মান্তিক গল্প আমাদের আবারও স্মরণ করিয়ে দেয় যে ব্রেইন টিউমারের ভয়াবহতা সম্পর্কে এবং আরও অনেক পরিবারে দুর্দশা ডেকে আনার আগেই আমাদের এটা থামাতে হবে।"