কম সুন্দর পুরুষেই বেশি সুখী নারী!
বন্ধুমহলে সবচেয়ে স্মার্ট, আকর্ষণীয় হয়েও কি আপনি সিংগেল? আপনার ব্যক্তিত্ব, পোশাক-আশাক, হিউমার সবকিছু নিয়েই প্রশংসা পাচ্ছেন সবার কাছ থেকে, সাময়িক সঙ্গীর অভাব নেই, কিন্তু দিনশেষে নিজের বলে কোথাও কেউ নেই!
এমন দুরাবস্থায় আপনি একা নন, আছে আরো অনেক সুদর্শন পুরুষ। আর ঠিক কী কারণে এমনটি ঘটছে আপনার সঙ্গে, তা উঠে এসেছে ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায়।
গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, সফল সম্পর্কে বেশিরভাগ সময় পুরুষের চেয়ে নারী সঙ্গী বেশি সুন্দরী। অন্যভাবে বললে নারীরা কম আকর্ষণীয় বা সুন্দর পুরুষের সাথে বেশি সুখী হয়।
১১৩ জন নববিবাহিত দম্পতির উপর পরিচালনা করা এই জরিপে স্বামী-স্ত্রীকে তাদের চেহারার উপর ভিত্তি করে নম্বর দেওয়া হয়। দেখা যায় স্ত্রীর চেয়ে সৌন্দর্যে পিছিয়ে থাকা স্বামীরা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে বেশি যত্নবান। উপহার দেওয়া, ঘরের কাজ করা, নিজেকে নতুন করে উপস্থাপন করা, ভালোবাসার নিত্যনতুন ধরণ বের করায় তাদের প্রচেষ্টা থাকে একটু বেশিই।
গবেষণায় বলা হয় কম আকর্ষণীয় দেখতে স্বামীরা সম্পর্কে বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। সেই সাথে তারা স্ত্রীর সৌন্দর্যের মর্ম বুঝতে পেরে স্ত্রীকে খুশি করতেও বেশি ব্যস্ত থাকে।
স্ত্রী খুশি মানেই তো জীবন খুশি! সে গবেষণায় আরো দেখা যায় যায় দম্পতির মধ্যে পুরুষ সঙ্গী বেশি আকর্ষণীয় হলে হীনমন্যতায় ভোগেন নারী সঙ্গী। যা তাদের সম্পর্কে নানাভাবে খারাপ প্রভাব ফেলে।
ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক তানিয়া রেনোল্ডস বলেন, "গবেষণার ফলাফলে দেখা যায় আকর্ষণীয় চেহারার স্বামীর জন্য সম্পর্কে খারাপ প্রভাব পড়ে, বিশেষভাবে যদি স্ত্রীরা কম আকর্ষণীয় হয়।"
তাই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের খালি হৃদয় নিয়ে মনঃকষ্টে ভোগার সময় ভাগ্যকে দোষারোপ করে লাভ নেই। হয়তো পুরুষ হিসেবে আপনি একটু বেশিই আকর্ষণীয়!
তবে হ্যাঁ, নিজের শারীরিক সৌন্দর্য নিয়ে আত্মতুষ্টিতে না ভুগে আপনার মতো সুদর্শন পুরুষেরা যদি সম্পর্কের প্রতি একটু বেশি যত্নবান হয়, তাহলে হয়তো এই চিত্র পাল্টে যেতে পারে।