বানর চুরি করলো প্রমাণের প্যাকেট, ভারতে বন্ধ হত্যা-মামলার বিচারকাজ
ভারতের একটি হত্যা-মামলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ একটি বানর চুরি করে নিয়ে যাওয়ায় ওই মামলার বিচারকাজ স্থগিত করতে হয়েছে।
২০১৬ সালে রাজস্থানের জয়পুরের চাঁদবাজি পুলিশ স্টেশনের পাশে শশীকান্ত শর্মার লাশ পাওয়া যায়। তারই হত্যা-মামলার বিচার কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল।
ওই বানরটি প্রমাণাদির একটি প্যাকেট নিয়ে উধাও হয়ে যায়। ওই প্যাকেটে ১৫টি প্রামাণিক উপাদান ছিল। এগুলোর মধ্যে ছিল হত্যার সম্ভাব্য অস্ত্র, একটি ছুরি। বুধবার (৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য টাইমস অভ ইন্ডিয়া।
বিচার-পূর্ববর্তী শুনানিতে জয়পুরের পুলিশ আদালতের কাছে এ চুরির ঘটনাটি স্বীকার করেছে। প্রমাণগুলো স্থানান্তর করায় সময় তার থেকে একটি প্যাকেট ছিনতাই করে ওই বানরটি।
পুলিশ জানিয়েছে, মালখানা গ্রামে ওই প্রমাণ নিরাপদ হেফাজতে নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। প্রমাণগুলোর দায়িত্বে থাকা কনস্টেবলকে সে সময় বরখাস্ত করা হয়েছিল। তিনি অবসরে যান ও পরে মৃত্যুবরণ করেন।
শশীকান্তের লাশ পাওয়ার পর ওখানকার একটি প্রধান সড়ক দখল করে প্রতিবাদ করে তার পরিবার। কিছুটা চাপের মুখে পড়ে পুলিশ পাঁচদিন পরে চাঁদবাজি এলাকার দুই সন্দেহভাজন রাহুল ও মোহনলাল কান্দেরাকে গ্রেপ্তার করে।
ওই খুনের প্রধান প্রমাণ ছিল একটি ছুরি। ধারণা করা হয়েছিল, ওই ছুরি দিয়েই শশীকান্তকে খুন করা হয়। পুলিশ সেটি সংগ্রহ করে প্রমাণের প্যাকেটে রাখে যাতে বিচার কাজ শুরু হলে আদালতের কাছে তা পেশ করা যায়।
তবে ভারতের আরেকটি গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মালখানা'র অডিটঘরে জায়গা না হওয়ায় ওই কনস্টেবল প্রমাণগুলো সাময়িকভাবে একটি গাছতলায় রাখেন।
পুলিশের লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, তখনই বানরটি ১৫টি প্রমাণের ওই প্যাকেটটি নিয়ে পালিয়ে যায়। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত প্রমাণগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে এ ঘটনায় পাবলিক প্রসিকিউটর পুলিশের অযোগ্যতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার মতে, পুলিশের ওই অজুহাত অস্বাভাবিক। আদালতও এ ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছেন।
জয়পুর রুরাল পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট-এর কাছে এ বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাকে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে, ও কীভাবে একটি বানর প্রমাণ চুরি করতে সক্ষম হলো তা পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে।