কোভিড-১৯ টিকা ক্রয়ে সরকারকে ৯৪ কোটি ডলার ঋণ দিল এডিবি
কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ফলপ্রসূ ও নিরাপদ ভ্যাকসিন কিনতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৯৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে। এনিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে ম্যানিলা ভিত্তিক দাতা সংস্থাটি।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ- ইআরডি'র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও এডিবির পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে ইআরডি'র কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের কথা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, "নিরাপদ ও ফলপ্রসূ গণ-টিকাকরণ জীবন ও জীবিকা রক্ষায় অপরিহার্য। এর মাধ্যমে কোভিড-১৯ মহামারি থেকে দ্রুত আর্থ-সামাজিক পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করা সম্ভব।"
তিনি বলেন, "টিকা কেনার জন্য এপর্যন্ত এডিবির দেওয়া এটাই সবচেয়ে বড় ঋণ সহায়তা। বাংলাদেশ সরকারকে মানসম্মত ও সাশ্রয়ী মূল্যের টিকা কেনায় সমর্থন দিতে এডিবি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
টিকা কিনতে সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি টিকার নিবন্ধন, সরবরাহ, পর্যবেক্ষন, সমন্বয় এবং ব্যবস্থাপনাতেও তার সংস্থা সহায়তা দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন মনমোহন প্রকাশ।
"বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক উত্তরণ নিশ্চিতে আমাদের পরিবর্তিত কর্মসূচির আওতায় এসব সহায়তা দেওয়া হবে," তিনি যোগ করেন।
এডিবির প্রদত্ত ঋণ প্যাকেজের মধ্যে নিয়মিত ঋণ রয়েছে ৪৭ কোটি ডলার, আরও ৪৭ কোটি ডলার ছাড়কৃত ঋণ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে।
উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোকে সহায়তা দানের লক্ষ্যে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ৯শ কোটি ডলারের এশিয়া প্যাসিফিক ভ্যাকসিন ফ্যাসিলিটি (এপিভ্যাক্স) চালু করে দাতা গোষ্ঠীটি। ওই প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সহায়তাটি পাচ্ছে।
প্রকল্পটির মাধ্যমে আনুমানিক প্রায় চার কোটি ৪৭ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা কিনতে পারবে বাংলাদেশ, যা দিয়ে ২০২৪ সালের মধ্যে ২ কোটির বেশি মানুষকে সম্পূর্ণ টিকাকরণ করা সম্ভব হবে।
ঋণের অর্থে টিকা উৎপাদক সংস্থার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করে বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স কর্মসুচি ও জাতিসংঘের শিশু কল্যাণ তহবিল- ইউনিসেফ এর সহায়তায় ভ্যাকসিনের চালান নিশ্চিত করা হবে।