নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য গঠিত পুন:অর্থায়ন তহবিলের ২৫ শতাংশ থাকবে নারীদের জন্য
কোভিডের অভিঘাত মোকাবেলায় নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক/ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য গেল বছর যে তিন হাজার কোটি টাকার পুন:অর্থায়ন তহবিল গঠিত হয়েছে তা থেকে ২৫ শতাংশ ঋণ নারীদের মাঝে বিতরণের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বুধবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট (এফআইডি)। ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক মো. রুহুল আমিন স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় গেল বছরের ২০ এপ্রিল তহবিল গঠন সংক্রান্ত নীতিমালা উল্লেখ করে নতুন এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গেল বছর যখন নীতিমালাটি করা হয়েছিল তখন নারীদের জন্য নির্ধারিত কোন অংশের উল্লেখ ছিল না। বলা ছিল, অসহায়/নিগৃহীত নারী সদস্যদের ঋণপ্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি জানান, এই তহবিল থেকে যে ঋণ দেয়া হচ্ছে, তার ৯৩ শতাংশ গ্রাহকই নারী।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর অনুরোধের প্রেক্ষিতে নারীদের নির্ধারিত অংশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। এই তহবিল গঠনে এডিবির কোন অংশগ্রহণ না থাকলেও সংস্থাটি সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হওয়ায় তাদের অনুরোধ রাখা হয়েছে বলে তিনি যোগ করেন।
তবে এই ৩ হাজার কোটি টাকা থেকে গেল এক বছরে কতজন গ্রাহকের অনুকূলে কী পরিমাণ ঋণ ছাড় করা হয়েছে সেই তথ্য দিতে পারেননি সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা।
গ্রামীণ অর্থনীতিতে নিম্ন আয়ের এসব মানুষের অংশগ্রহণের কথা বিবেচনা করে কোভিড মোকাবেলায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলমান রাখা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক (ইনক্লুসিভ) উন্নয়ন গেল বছরের এপ্রিলে ৩ হাজার কোটি টাকার এই তহবিল (স্কিম) গঠন করা হয়েছিল।
প্রয়োজন পড়লে এই স্কিমের পরিমাণ আরো বাড়ানো যাবে বলে নীতিমালায় বলা হয়েছিল। তহবিলটির মেয়াদ ৩ বছর। এই তহবিল থেকে ব্যাংক ও ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ দিচ্ছে। ক্ষুদ্র ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে একক গ্রাহক এই তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ভিত্তিক সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা ঋণ পাওয়া যাবে।
আর ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হলে এককভাবে সর্বোচ্চ ১০ লাখ এবং যৌথ উদ্যোগে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা ঋণ পাবে। অন্যান্য ফি কিংবা সার্ভিস চার্জ যাই থাকুক না কেন এই ঋণের বার্ষিক সুদহার ৯ শতাংশ। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পর্যায়ে গ্রেস পিরিয়ডসহ এই ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ২ বছর।