পরিচালকরা টাকা লুট করেছে, ওটাকে কোনভাবে বাঁচানোর আশা নেই: ইব্রাহিম খালেদ
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে পরিচালকরা নামে বেনামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। তাই এটিকে কোনভাবে বাঁচানোর আশা না থাকায় এর চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ।
গত রোববার এই পদত্যাগপত্র বাংলাদেশ ব্যাংক ও আদালতে জমা দেন তিনি।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের কাছে দেওয়া এক মন্তব্যে তিনি বলেন, প্রশান্ত হালদারের (পিকে) নেতৃত্বে কোম্পানিটি জবরদখল করে কোম্পানিকে ডুবানো হয়েছে। যদিও ২০১৫ সাল পর্যন্ত এর পরিস্থিতি বেশ ভাল ছিল। ২০১৬ সালে শেয়ার কিনে কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় নিজেদের লোক বসান পি কে হালদার। তারপর থেকে এটি ডুবতে থাকে। সেখান থেকে পিকে হালদার নিজেই লোপাট করেন ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ঐ টাকায় বাংলাদেশ,ভারত ও কানাডায় বিভিন্ন কোম্পানি গড়ে তোলেন পিকে হালদার।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
স্বাস্থ্যজনিত কারণে পদত্যাগ করলেও আদালতে কোম্পানিটির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন ইব্রাহিম খালেদ। সেখানে তিনি মোটা দাগের দুটি সুপারিশ করেছেন।
প্রথমত: বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত প্রশাসক বসিয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং-এর ভবিষ্যত কি হবে তা ঠিক করা।
দ্বিতীয়ত: দুর্নীত দমন কমিশনের উচিত বিষয়টি তদন্ত করে লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া।
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতি মাসে তিন লাখ টাকা সম্মানী নেয়ার কথা থাকলেও তা গ্রহণ করেন নি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই ডেপুটি গভর্নর। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং- এ চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন তিনি।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি উচ্চ আদালত কোম্পানিটির সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা এবং পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ও তার ১৯জন সহকর্মীর ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেন।
গত ৮ জানুয়ারি পিকে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।