ভ্যাকসিন রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার পর বেক্সিমকোর শেয়ারের দরপতন
ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন রপ্তানির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার এক দিনের মধ্যেই সোমবার সকালে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারের ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ দরপতন হয়েছে।
সোমবার সকালে শেয়ারবাজারের প্রথম ঘন্টায় বেক্সিমকো ফার্মার প্রতিটি শেয়ারের দাম ২০৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৯৬ টাকা ২০ পয়সায় নেমে আসে।
তবে এই সময়ে, ১১৪ কোটি টাকা মূল্য নিয়ে টার্নওভার লিস্টে এটি এক নম্বর অবস্থানে থাকে।
বেক্সিমকোর আরেক কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারের দাম ১ দশমিক ৯১ শতাংশ কমে ৬১ টাকা ৫০ পয়সায় নেমে আসে।
কয়েকটি ব্রোকারেজ ফার্মের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, ভ্যাকসিন আমদানির খবরে গত কয়েকমাসে বেক্সিমকোর শেয়ারের দাম বেড়েছিল। তবে হঠাৎ করেই গতকাল ভারত ভ্যাকসিন রপ্তানির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ জন্য বিনিয়োগকারীদের সেলিং প্রেশারের কারণে বেক্সিমকোর শেয়ারের দাম কমে গেছে।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর ৩ কোটি ডোজ অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন আমদানির জন্য ভারতের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি বেক্সিমকোর সঙ্গে চুক্তি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সেরাম ইনস্টিটিউট, বেক্সিমকো ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী উৎপাদন শুরুর প্রথম মাস থেকেই প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে দেওয়ার কথা। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস সেরাম থেকে ভ্যাকসিন এনে বাংলাদেশ সরকারকে দেবে।
এই চুক্তির পর, গতকাল ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারের দাম ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ যথাসময়েই ভ্যাকসিন পাবে।
ভারত সরকার ভ্যাকসিন রপ্তানি নিষিদ্ধ করায় সেরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষে ভ্যাকসিন রপ্তানি সম্ভব হবে না।