৫ মে পর্যন্ত ৮টি দেশ থেকে যাত্রীরা দেশে আসতে পারবেন: সিএএবি
আগামী ৫ মে পর্যন্ত আটটি দেশ থেকে যাত্রীরা দেশে প্রবেশ করতে পারবেন। বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএবি)।
দেশগুলো হলো: সৌদি আরব, কুয়েত, ওমান, কাতার, বাহরাইন, সিঙ্গাপুর, চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিএএবি জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও উল্লিখিত আটটি দেশের মধ্যে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন রয়েছে।
অন্য কোনো স্থান থেকে ঢাকা পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন না করার ব্যাপারেও সতর্ক করা হয় দেশগুলোর বিমান সংস্থাগুলোকে।
এছাড়া, সরকার চলমান 'শিথিল' লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর পর, বিশেষ বিবেচনার বিশেষ ফ্লাইট চলাচলের মেয়াদও ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
গত ১১ এপ্রিল সিএএবি সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ১৪ এপ্রিল থেকে সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
পরবর্তী সময়ে ১৫ এপ্রিল সরকার সৌদি আরব, ওমান, কাতার, আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুর থেকে ১৭ এপ্রিল থেকে ১০০টি বিশেষ ফ্লাইট চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
অভিবাসী শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাওয়ার কথা বিবেচনায় রেখে চীন, কুয়েত ও বাহরাইনকেও এই তালিকায় সংযুক্ত করা হয়।
তবে ২৬ এপ্রিল থেকে ১৪ দিনের জন্য বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করে।
বাংলাদেশে মহামারির সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ন্ত্রণে ৫-১১ এপ্রিল পর্যন্ত সীমিত পরিসরে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। পরে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করা হয়, যা পরে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
তবে আগামী ৫ মে পর্যন্ত বর্ধিত লকডাউনে কিছু বিধি-নিষেধ উঠিয়ে নিয়েছে সরকার। এসময়ে শপিংমল ও দোকান-পাট খোলা থাকবে।
বিমান সংস্থাগুলোকে দেওয়া বিশেষ শর্তাবলী:
১. শুধু পয়েন্ট টু পয়েন্ট যাত্রী পরিবহন করা যাবে।
২. করোনা টিকা নেওয়া থাকলেও যাত্রার নির্ধারিত সময়ের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রীদের করোনার পরীক্ষার নেগেটিভ সাথে রাখতে হবে।
৩. দেশে আসার পর যাত্রীদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় অথবা নিজ খরচে হোটেলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। সব যাত্রীর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করেই বোর্ডিং পাস ইস্যু করবে এয়ারলাইনসগুলো।
৪. ধারণ ক্ষমতার নিধি-নিষেধ শিথিল করায় নিয়মিত সময়ের মতোই টিকিটের দাম ধার্য করা হবে আশা করা হচ্ছে।
৫. বহির্গামী যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সব যাত্রীন পরিবহনের অনুমতি থাকলেও প্রবাসী শ্রমিকরা প্রাধান্য পাবেন।
৬. যাত্রীরা পরিবারের সদস্য সমেত ভ্রমণ করতে পারবেন। অন্যান্য যাত্রীদের পরিবারের চেয়ে প্রবাসীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
৭. ঢাকা থেকে বহির্গামী ফ্লাইটে এক সারির বিমানের ক্ষেত্রে ধারণ ক্ষমতা ও যাত্রী পরিবহন সম্পর্কিত কোনো বাধা-নিষেধ নেই। তবে দুই সারির বিমানগুলো সর্বোচ্চ ২৮০ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। শুধু বি-৭৭৭ ও বি-৭৪৭ বিমান ৩৫০ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
৮. ঢাকায় আগত ফ্লাইটের ক্ষেত্রে এক সারির বিমান সর্বোচ্চ ১০০ জন এবং দুই সারির বিমান ১৫০ জন যাত্রী বহন করতে পারবে।
৯. সব ফ্লাইটেই ইকোনমি ক্লাসের শেষ সারি ও বিজনেস ক্লাসের একটি কেবিন সন্দেহজনক করোনায় আক্রান্ত যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে।
১০. সর্বোপরি, বিমানবন্দর ও বিমানে সব স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।