সিএমএসএমই খাতে ২৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের
কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ- সিএমএসএমই খাতে ২৫ হাজার কোটি টাকার রিফাইন্যান্স স্কিম গঠনের ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই এন্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট 'সিএমএসএমই খাতে মেয়াদী ঋণের বিপরীতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম' শিরোনামে স্কিম গঠনের সার্কুলার জারি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে এই টাকা দেওয়া হবে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ৩ বছর মেয়াদী এই তহবিলের মেয়াদ প্রয়োজনে বাড়ানো হবে। এ স্কিমের আওতায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের কাছে থেকে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদ নিতে পারবে।
পাশাপাশি তারা এ স্কিমের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২ শতাংশ সুদে রিফাইন্যান্স পাবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে পুনঃঅর্থায়নের অর্থ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে সুদসহ কিস্তি আদায় করবে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে স্কিমের আওতায় বিতরণ করা মোট ঋণের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ কটেজ, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মাঝে সামগ্রিকভাবে বিতরণ করতে হবে; এবং সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ মাঝারি উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করতে পারবে তারা।
এছাড়া ঋণগুলোর কমপক্ষে ৭০ শতাংশ উৎপাদন ও সেবা খাতে এবং সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ ব্যবসা খাতে প্রদান করা যাবে। খেলাপী ঋণগ্রহীতারা এ স্কিমের আওতায় ঋণ পাবে না।
কৃষি/খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী শিল্প, তৈরি পোশাক শিল্প, নিটওয়্যার, ডিজাইন ও সাজসজ্জা, আইসিটি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য শিল্প, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পাট ও পাটজাত শিল্প এই ঋণে উচ্চ অগ্রাধিকার পাবে।
এছাড়াও প্লাস্টিক ও অন্যান্য সিনথেটিক্স শিল্প, পর্যটন শিল্প, হোম টেক্সটাইল সামগ্রী, নবায়নযোগ্য শক্তি (সোলার পাওয়ার), অটোমোবাইল প্রস্তুত ও মেরামতকারী শিল্প, তাঁত, হস্ত ও কারুশিল্প, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি (এলইডি, সিএফএল বাল্ব উৎপাদন)/ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, নির্মাণ শিল্প/ ইলেকট্রনিক ম্যাটেরিয়াল উন্নয়ন শিল্প, জুয়েলারি শিল্প, খেলনা শিল্প, প্রসাধনী ও টয়লেট্রিজ শিল্প, আসবাবপত্র শিল্প এবং মোবাইল/কম্পিউটার/টেলিভিশন সার্ভিসিং অগ্রাধিকার পাবে।
এর বাইরে নারী উদ্যোক্তা, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন উদ্যোক্তা এবং যেকোনো দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তারাও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ স্কিমের আওতায় ঋণ পাবে।
এ স্কিমের আওতায় প্রদত্ত ঋণের ক্ষেত্রে, গ্রাহক পর্যায়ে গ্রেস পিরিয়ড হবে সর্বোচ্চ ৬ মাস। গ্রেস পিরিয়ডসহ ঋণের মেয়াদ ৫ বছরের বেশি হবে না বলে জানানো হয়।
এ স্কিমের আওতায় ঋণ দিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে একটি অংশগ্রহণ চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। অন্যান্য সরকারি ব্যাংক এ স্কিমের আওতায় ঋণ দিতে পারবে।
তবে বেসরকারি, বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে হলে তাদের শ্রেণীকৃত ঋণ ১০ শতাংশের কম হতে হবে এবং ন্যূনতম ৩ বছরের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।