সুইস ব্যাংকের কাছে কখনো সুনির্দিষ্ট তথ্য চায়নি বাংলাদেশ: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশ সরকার সুইস ব্যাংক একাউন্টের বিষয়ে কখনো সুনির্দিষ্ট তথ্য চায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকায় সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়্যুা।
আজ বুধবার (১০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, অভিযোগ রয়েছে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশের নাগরিকদের জমা রাখা অর্থের বেশির ভাগ অবৈধপথে অর্জিত। তবে বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত সুইস ব্যাংক বা কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি। সুইস ব্যাংকে অবৈধ অর্থ জমা রাখা হোক বা এর মাধ্যমে পাচার করা হোক– তা সুইজারল্যান্ডের সরকারও চায় না। দুই দেশের সরকার বাংলাদেশিদের জমা করা অর্থের বিষয়ে আলোচনা করতে পারে। তার ভিত্তিতে তথ্য এনিয়ে বিনিময়ও সম্ভব'।
শুয়্যুা বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় সুইস সরকার। এরমধ্যেই চলতি বছর ১৩ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।
এর আগে ২০২১ সালে সুইস ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশি নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের রাখা অর্থের পরিমাণ রেকর্ড ৮৭১.১ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ বা ৮ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা উন্নীত হয়– আগের বছরের চেয়ে এই আমানতের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৫৫ শতাংশ।
সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) চলতি বছরের জুনে প্রকাশিত ব্যাংকিং খাতের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।
এতে দেখা যায়, সুইস ব্যাংকে আমানত প্রবৃদ্ধির দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ, তারপরে রয়েছে ভারত।
তবে মোট আমানতের হিসাবে এগিয়ে রয়েছে ভারত। জমা রয়েছে ৩,৮২৯ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ। আমানত প্রবৃদ্ধি ৫০ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তারপরে যথাক্রমে আছে– পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ এবং ভুটান।
পাকিস্তানের আমানত প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ; দেশটির নাগরিকরা মোট ৭০৫.৯৫ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ সমপরিমাণ অর্থ সুইস ব্যাংকগুলোয় রেখেছেন।
এসএনবি'র পরিসংখ্যানে বাংলাদেশি নাগরিক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জমা রাখা সব ধরনের তহবিল ও আমানতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
২০২১ সালে ব্যক্তি হিসাবে বাংলাদেশিরা ২৬.৩ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ জমা করেন, আগের বছরের তুলনায় যা বেড়েছে ১৮ শতাংশ।