৬৬৬ শাখায় নগদ ডলার বেচাকেনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন ২৩ ব্যাংকের
২৩টি ব্যাংকের ৬৬৬টি শাখায় নগদ ডলার বেচাকেনার জন্য ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে আবেদন পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার (২১ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নগদ ডলার বেচাকেনায় মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্ভরতা কমাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সাধারণ শাখায় নগদ ডলার বেচাকেনার অনুমোদন দিতে আবেদন চেয়ে গত ১১ আগস্ট সমস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংককে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়, বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনের সুবিধার্থে নন-এডি (এডি=অনুমোদিত ডিলার) শাখায় নগদ বৈদেশিক মুদ্রা বেচাকেনার সুযোগ দেয়া হবে।
অনুমোদন পাওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে ১৭ আগস্টের মধ্যে শাখাগুলোর তালিকা পাঠাতে বলা হয়।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, 'যে ব্যাংকগুলো গত বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসে আবেদন করেছে, সেগুলোর আবেদনের কপি এখনও এসে পৌঁছায়নি। তাই আমরা আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত দেখব কতগুলো আবেদন এসেছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আবেদনকৃত সবাইকেই অনুমোদন দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। তবে বিশেষ কিছু কারণে দু-একটা শাখা অনুমোদন না-ও পেতে পারে।'
বর্তমান নিয়মে শুধু বৈদেশিক লেনদেনে নিয়োজিত ব্যাংকের অনুমোদিত ডিলার (এডি) শাখাগুলো থেকে নগদ ডলার কেনাবেচনার অনুমতি রয়েছে।
ডলার সংকট কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সেবার পরিধি বাড়াতে চাচ্ছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, 'ডলার বেচাকেনার জন্য শুধু এডি শাখাগুলোর অনুমতি রয়েছে। কিন্তু সারা দেশে এ ধরনের শাখা খুবই কম। এসব শাখার বেশিরভাগই রাজধানী ঢাকাসহ জেলা ও বিভাগীয় শহরে। ফলে নগদ ডলার কেনাবেচার জন্য মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের ওপরই বেশি নির্ভর করতে হয় প্রবাসী বাংলাদেশি, বিদেশি পর্যটকসহ সাধারণ গ্রাহকদের।'
সাধারণত ব্যাংক থেকে ডলার কিনতে এনডোর্সমেন্ট বাধ্যতামূলক হলেও খোলাবাজারে সেই বাধ্যবাধকতা নেই। ফলে মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো নগদ ডলারের বাজারে একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে রেখেছে। মানি চেঞ্জারদের ওপর নগদ ডলার বেচাকেনার নির্ভরতা কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।
চলতি বছরের শুরু থেকে দেশের বাজারে ইলেকট্রনিক ডলারের সঙ্গে নগদ ডলারের সংকট শুরু হয়েছে।
তীব্র সংকটে দেশে মার্কিন ডলারের দাম বাড়ছে, অন্যদিকে কমছে টাকার মান। খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে গত ১০ আগস্ট নগদ এক ডলার কিনতে গ্রাহককে গুনতে হয়েছে ১১৮ থেকে ১২০ টাকা।
দেশে চাহিদার তুলনায় ডলার আসার পরিমাণ কম বলে মুদ্রাটির দাম বাড়ছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রোববার (২১ আগস্ট) খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১০৮ থেকে ১১০ টাকায়। আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলার বিক্রি হয়েছে ৯৫ টাকায়।
ব্যাংকগুলো বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর মাধ্যমে ১১২ টাকায় ডলার কিনেছে। ব্যবসায়ীদের এলসি নিষ্পত্তিতে ডলারের দাম রাখা হয়েছে ১০৬ টাকা।