বায়িং এজেন্টদের ডলার সংরক্ষণের অনুমতি দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
রপ্তানিকারকদের মতোই রপ্তানি সহায়কদের তাদের হিসাবে মার্কিন ডলার ধরে রাখার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রপ্তানি সহায়করা তাদের আয় থেকে এই ডলার সংরক্ষণ করতে পারবেন।
বর্তমানে রপ্তানিকারকরা এক্সপোর্ট রিটেশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাবে রপ্তানির আয় ধরে রাখতে পারেন, একইভাবে তা এজেন্ট রিটেনশন কোটা (এআরকিউ) হিসাবে সংরক্ষণ করার অনুমতি পেলেন বায়িং এজেন্টরা।
এই অনুমতি দিয়ে আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) একটি সার্কুলার জারি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বায়িং এজেন্টদের অনুমোদিত ডিলার শাখাগুলোতে হিসাব খোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় আয়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত এসব হিসাবে রাখা যাবে।
বিদেশি ক্রেতা ও পোশাক পণ্য আর টেক্সটাইল প্রস্তুতকারকদের মধ্যে মধ্যস্বত্বকারীর ভূমিকা পালন করে বায়িং হাউজগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, রপ্তানিকারকদের জন্য তাদের রপ্তানি আয়ের নিদৃষ্ট একটা পরিমাণ ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্টে রাখার সুযোগ থাকলেও বায়িং এজেন্টদের জন্য এ সুযোগটি ছিল না। যার কারণে বিদেশে এজেন্টদের কমিশন পাঠাতে তাদের নানা সমস্যা পোহাতে হয়। সেজন্যই এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সাধারণত আমাদের গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানির প্রায় ৭০ শতাংশ বায়িং এজেন্টদের মাধ্যমে হয়ে থাকে। তাদেরকে সুবিধা দেওয়া হলে, আমাদের রপ্তানি আরও সহজ হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে আরও বলা হয়, যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষের থেকে বায়িং কোম্পানি/ ফার্মগুলোকে উপযুক্ত অনুমতি নিতে হবে— যদি তারা সংশ্লিষ্ট খাতগুলোর বাণিজ্যিক জোটগুলোর সক্রিয় সদস্য ও আবেদনযোগ্য হয়। তবে সংরক্ষণযোগ্য আয় অবশ্যই বৈদেশিক মুদ্রায় হতে হবে।