ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করতে চান ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানি
পূর্ব ভারতের একটি কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরুর পরিকল্পনা করছেন ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানি। প্রতিবেশী দেশের জ্বালানি সংকটকে লাঘব করতে তিনি এ পরিকল্পনা করছেন।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দিল্লিতে সাক্ষাৎ করেন আদানি। এরপর এক টুইটার পোস্টে জানান, অচিরেই ঝাড়খণ্ড রাজ্যে আদানি পাওয়ার লিমিটেডের ১.৬ গিগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হবে। এখান থেকে সরাসরি সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে রপ্তানি শুরু হবে।
প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করতে ভারতের অবকাঠামো ব্যবহারের লক্ষ্য রয়েছে, তার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এই প্রকল্পটি।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুসারে, এশিয়ার সেরা ধনকুবের আদানির ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য বন্দর, অবকাঠামো ও এনার্জি খাতে বিস্তৃত। তিনি শ্রীলঙ্কাতেও বিনিয়োগ করেছেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকেই বিশ্ববাজারে গ্যাস ও কয়লার দাম বাড়তে থাকলে, জ্বালানি সংকটে পড়ে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশের রয়েছে আমদানি করা এসব জীবাশ্ম জ্বালানীর ওপর ব্যাপক নির্ভরশীলতা। তার সাথে রয়েছে, রপ্তানি-নির্ভর অর্থনীতিকে সমর্থন দিতে ২০৪১ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বর্তমানের দ্বিগুণ করার লক্ষ্য।
ঝাড়খণ্ড রাজ্য ভারতের একটি কয়লা খনি প্রধান অঞ্চল। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে প্রধানত আমদানি করা কয়লা পোড়ানো হবে। এমনটাই জানা যায়, ভারতীয় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দেয়া ২০১৭ সালের অনুমোদন নথি সূত্রে।
কয়লা আমদানি করা হবে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে। এত দূর থেকে জাহাজে করে আমদানি এবং এরপর তা বন্দর থেকে ট্রেনের মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে আসার উচ্চ খরচের কারণে, ভারতে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর এই প্রকল্পটি সমালোচনার মুখেও পড়ে।