পেপার প্রোসেসিং কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, তদন্তের নির্দেশ
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/09/11/paper_processing.jpeg)
পেপার ও প্রিন্টিং খাতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পেপার প্রোসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের শেয়ার দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানির শেয়ারের সাম্প্রতিক দাম বৃদ্ধির বিষয়ে তদন্তে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন সূত্র।
মাগুরা গ্রুপের এই কোম্পানিটি গত বছরের জুনে ওভার-দ্য-কাউন্টার (ওটিসি) বাজার থেকে মূল মার্কেটে ফিরে আসে; তখন এর প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১৭.৬ টাকা।
করোনার কারণে কোম্পানির মূল ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে।
মূল মার্কেটে ফেরার তিন মাসের মাথায় ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রতিটি শেয়ার দাম দাঁড়ায় ২৫৩ টাকা এবং চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি কোম্পানির প্রতিটি শেয়ার দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৩১৩ টাকায়।
এরপর শেয়ার দাম কমতে কমতে গত ১০ আগস্ট প্রতিটি শেয়ার দাম দাঁড়ায় ১৭৫ টাকায়।
গত ২৫ আগস্ট শেয়ারের দাম আবার বেড়ে দাঁড়ায় ২৭২ টাকায়। তবে গত বৃহস্পতিবার কোম্পানির শেয়ারের দাম আবারও কমে দাঁড়ায় ২২২ টাকায়।
অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এক অনুসন্ধানের জবাবে গত ২৩ আগস্ট কোম্পানি জানিয়েছে, শেয়ার দাম বৃদ্ধির বিষয়ে অপ্রকাশিত কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই।
ঋণ জটিলতা এড়াতে স্পন্সর-ডিরেক্টরদের শেয়ার বিক্রি
করোনায় ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ায় ব্যাংক ঋণ নিয়ে জটিলতায় পড়ে পেপার প্রোসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড।
ব্যবসায় ভালো না হওয়ায় কোম্পানিটি ব্যাংক খেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে। তবে কোম্পানির এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুধু ব্যাংক ঋণ পরিশোধের জন্য স্পন্সর-ডিরেক্টরদের শেয়ার বিক্রির অনুমতি দেয় কমিশন।
কমিশনের অনুমতি নিয়ে কোম্পানির তিন স্পন্সর-ডিরেক্টর ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৯৮০ শেয়ার বিক্রি করেছেন।
কমিশনের অনুমতির পর, কর্পোরেট ডিরেক্টর বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট গ্রুপ এবং মাগুরা গ্রুপ যথাক্রমে ৪.৩৬ লাখ এবং ৪ লাখ শেয়ার বিক্রি করেছে। এদিকে, পৃষ্ঠপোষক-পরিচালক মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিন বিক্রি করেছেন ১ লাখ ৯৮০ শেয়ার।
কোম্পানিটি বলছে, বিক্রির অর্থ সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান শাখায় ব্যাংক ঋণের দায় সমন্বয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
পরবর্তীতে ব্যবসায়িক পরিস্থিতি অবনতির কারণে কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হয়।
এর ফলে কোম্পানিকে মূল মার্কেট থেকে ওটিসি মার্কেটে স্থানান্তর করা হয়।
কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, যার মোট শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৬০০টি।
জুন, ২০২২ অনুযায়ী, উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে রয়েছে ৩৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ০.৫৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৬৪.৪৬ শতাংশ শেয়ার।