চলতি অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.১ শতাংশে নামাল বিশ্বব্যাংক
বিশ্বব্যাংক চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) যে হারে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে বলে প্রক্ষেপণ করেছিল– তা হ্রাস করে ৬.১ শতাংশে নামিয়েছে। আরেক দাতা সংস্থা- এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)'র ৬.৬ শতাংশ প্রক্ষেপণের চেয়ে যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংক তাদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রতিবেদন– সাইথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস- এর 'কোপিং উইথ শকস: মাইগ্রেশন অ্যান্ড দ্য রোড টু রেজিলিয়েন্স' শীর্ষক সংস্করণ প্রকাশ করেছে।
এতে বাংলাদেশের জন্য দেওয়া পূর্বাভাস শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কমানো হয়েছে। এর আগে এপ্রিল ও জুনে ৬.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আভাস দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক।
তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৬.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে প্রক্ষেপণ করেছে বৈশ্বিক সংস্থাটি।
এর আগে আগামী অর্থবছরে ৫.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করেছিল বিশ্বব্যাংক, যা সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের সরকারি নির্ধারিত জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা হলো ৭.৫ শতাংশ, বিশ্বব্যাংকের সবশেষ প্রক্ষেপণের চেয়েও যা ১.৪ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি।
বিশ্বব্যাংকের মতে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং চলমান লোডশেডিংয়ের কারণে বাংলাদেশের করোনা মহামারির অভিঘাত থেকে পুনরুদ্ধার ব্যাহত হচ্ছে। অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে ভোগ চাহিদা ও বিনিয়োগ নিয়ে। এছাড়া, নির্ভরযোগ্য উচ্চ মানের সূচকগুলির অনুপস্থিতি নীতিনির্ধারকদের জন্য অর্থনৈতিক পরিস্থিতির হালচিত্র নিরুপণ করাকেও দুরুহ করে তুলেছে।
বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি আরও বলেছে, 'উল্লেখযোগ্য হারে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে তৈরি হওয়া উচ্চ মূল্যস্ফীতি বেসরকারি চাহিদার প্রবৃদ্ধিকে চাপা দিতে পারে। বাংলাদেশি পণ্যের প্রধান বাজারগুলোয় অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকায়- রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও হবে ধীর গতিতে। এক্ষেত্রে আরও ভূমিকা রাখবে প্রস্তুতকারক খাতে লোডশেডিং, গ্যাস রেশনিং ও বাড়তি উৎপাদন ব্যয়ের আপদ'।