রিজার্ভ কমে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এল
রিজার্ভ থেকে অব্যাহতভাবে ডলার বিক্রির ফলেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ৩৪ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ৩৩.৮৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
বুধবার রিজার্ভ থেকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর কাছে আরও ৭১ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর মাধ্যমে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত রিজার্ভ হতে ডলার বিক্রি ৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২১-২২ অর্থবছরে রেকর্ড ৭.৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৭.৯৩ বিলিয়ন ডলার কিনেছিল।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে হিসাব করলে রিজার্ভ আরও ৮ বিলিয়ন ডলার কমে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসবে।
ডলারের দামে লাগাম টানতে আমদানি নিয়ন্ত্রণের জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলা কমানোসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু আগের বকেয়া এলসি এখন নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। ফলে রিজার্ভের ওপর চাপ কমেনি।
ব্যাংকগুলোর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তারা রেমিট্যান্স ১০৭ টাকায় সংগ্রহ করছে। আর রপ্তানি নগদায়নের ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা।
বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) জানিয়েছে, বুধবার ব্যাংকগুলোর ডলার কেনার গড় খরচ ছিল ১০২.৫৬ টাকা।
আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য ব্যাংকগুলো ক্রয়মূল্য থেকে ১ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে রিজার্ভ কমে এ পর্যায়ে নেমেছে। এর আগে ধারাবাহিকভাবে তা বাড়ছিল।
১০ বছর আগে ২০১৩ সালের জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫.৩২ বিলিয়ন ডলার।
পাঁচ বছর আগে তা বেড়ে হয়েছিল ৩৩.৬৮ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের আগস্টে প্রথমবারের মতো তা ৪৮.০৬ বিলিয়ন ডলার হয়। কিন্তু গত কয়েক মাসে ধরে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।